সব্যসাচী বাগচী: ওঁরা দুজনেই ভারতীয় ফুটবল (Indian Football) থেকে অনেক দূরে। কিন্তু ভারতীয় ফুটবল দুই নাইজেরীয়কে (Naigeria) ভুলতে পারবে না। বিশেষ করে ডার্বি এলেই ওকেলি ওডাফা (Odafa Okolie) ও চিডি এডের (Chidi Edeh) প্রসঙ্গ চলে আসবেই। রাত পোহালেই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে (Durand Cup 2023) ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) বনাম মোহনবাগানের (Mohun Bagan) লড়াই। এমন মেগা ফাইনালের আগে দুই গোলমেশিন আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন।
ডার্বি (Durand Cup Derby) থেকে দূরে থাকলেও রবিবাসরীয় ডার্বিতে কাকে সমর্থন করবেন ঠিক করে ফেলেছেন দুই তারকা স্ট্রাইকার। চিডি সংবাদ প্রতিদিন.ইন-কে বলেন, “আমি দুই ক্লাবের হয়েই ডার্বি খেলেছি। গোল করেছি। তবে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে শেষ খেলেছি বলেই হয়তো সেই দলের প্রতি একটি আলাদা টান রয়ে গিয়েছে। তাই চাইব, রবিবারের ডার্বি ইস্টবেঙ্গল জিতুক।” আর ওডাফা? তিনিও তো অনেক বছর আগেই সবুজ-মেরুনের কাছে অতীত হয়ে গিয়েছে। ‘গোল মেশিন’ ওডাফা ফোনে বললেন, “মোহনবাগানে আমি তিন বছর খেলেছি। ভাল মন্দ অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগানকেই সমর্থন করব।”
[আরও পড়ুন: ৩-০ স্কোরলাইনে ফাইনাল জিতবে কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গল, দাবি ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের]
চিডি ২০০৯-এর ২৫ অক্টোবর মোহনবাগানের জার্সিতে ৫-৩ ম্যাচের জয়ের নায়ক ছিলেন। একাই করেছিলেন চার গোল। আবার লাল-হলুদ জার্সিতে সেই চিডিই ২০১৩-র ডার্বিতে জোড়া গোল করে জয় এনে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে। সেই চিডি যোগ করলেন, “ডার্বি নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি। চার গোল যেমন আমাকে তৃপ্তি দেয়। আবার দু’গোলের কথা মনে হলে উত্তেজনা অনুভব করি। ২০১২-র ডার্বিতে নবি যে ভাবে রক্তাক্ত হয়েছিল, সে কথা এখনও ভাবলে খারাপ লাগে। তবু বলছি, কলকাতার ডার্বির উত্তেজনা আমি মিস করছি।”
২০১১-১২ মরসুমে প্রথম মোহনবাগানের জার্সি পরে খেলতে নেমে টানা তিন ডার্বিতে গোল করেছিলেন ওডাফা। সেই গোলমেশিনই আবার ডার্বির কথা উঠতেই একটু যেন আনমনা। তবে ২০১২-এর ৯ ডিসেম্বরের ডার্বির স্মৃতি সবচেয়ে যন্ত্রণার বলেই মনে করেন ওডাফা। সেই মরসুমে আই লিগের প্রথম ডার্বিতে মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন। তার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো যুবভারতী। ইঁটের আঘাতে গুরুতর আহত হন রহিম নবি। এই ঘটনার জেরে ওডাফার ফুটবল জীবনই অনিশ্চিত হয়ে যেতে বসেছিল। বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল মোহনবাগানও। সেই কলঙ্কিত ডার্বির প্রসঙ্গ উঠতেই ওডাফা বলে দিলেন, “সেই সময়ের কথা ভাবলে এখনও মন খারাপ হয়ে যায়। এটাই হয়তো জীবন।”
[আরও পড়ুন: জুয়ান ফেরান্দো কেন অজুহাত দিচ্ছেন? মেগা ডার্বির আগে প্রশ্ন তুলে দিলেন সঞ্জয় সেন]
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। মোহনবাগান কি প্রথম ডার্বি হারের বদলা নিতে পারবে? নাকি ইস্টবেঙ্গল চলতি মরশুমে জোড়া ডার্বি জিততে পারবে? সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় ফুটবল। অপেক্ষার প্রহর গুনছেন দুই প্রাক্তন তারকা স্ট্রাইকার ওডাফা-চিডি।