কৃষ্ণকুমার দাস: কমিশনের নির্দেশে আগেই পুরপ্রশাসকের পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ইস্তফা দিয়েছেন। এবার সেই প্রশাসক পদে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বসাল নির্বাচন কমিশন (Election commission)। বসানো হল IAS ও WBCS অফিসারদের। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হলেন রাজ্যের পুরসচিব খলিল আহমেদ। খলিল আহমেদ দীর্ঘদিন পুরসভার কমিশনার ছিলেন। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক অভিষেক ত্রিপাঠি, বিধাননগরের প্রশাসক হলেন দেবাশিস ঘোষ। আসানসোল পুরনিগমের নীতীন সিংঘানিয়া, শিলিগুড়ি পুরনিগমে প্রশাসক হিসেবে বসানো হয়েছে সুরেন্দ্র গুপ্তাকে। এখন থেকে তাঁরাই পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পেয়ে রবিবার সকালেই কলকাতার পুরসভার (KMC) প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমাররাও পদত্যাগ করেছেন। ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও একইভাবে অন্যান্য পুরসভার প্রশাসকরাও ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। শিলিগুড়ির প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য-সহ অন্যরাও ইস্তফা দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: প্রার্থী বদলের দাবি, মালদহের কোতোয়ালি ভবনের সামনে তুমুল বিক্ষোভ কংগ্রেস কর্মীদের]
২০২০ সালে রাজ্যে পুরভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনা আবহে তা হয়নি। অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে পুরবোর্ড ভেঙে প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করে পুরসভার কাজ চালানো হচ্ছিল। কিন্তু ভোটের মরশুমে এই অস্থায়ী ব্যবস্থা চলবে না বলে জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। দিন কয়েক আগে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিজেপি অভিযোগ জানিয়ে এসেছিল, নির্বাচনী আচরণবিধি (Model code of conduct) চালু হওয়ার পরও পুরসভার প্রশাসকরা বিভিন্নভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। পুরসভাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে ভোটের কাজে। বিরোধী শিবিরের এই অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসে কমিশন। জানিয়ে দেওয়া হয়, সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে সোমবারের মধ্যে এই পদগুলিতে বসাতে হবে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। তবে কমিশনের নির্দেশের পরেই পুর প্রশাসক নিজেরাই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে খবর। সোমবার সকালে নতুন প্রশাসক নিয়োগ করল কমিশন।