সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীকে 'কুকথা'র বলার জের। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে 'সেন্সর' করল কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না তিনি। চার পাতার চিঠিতে প্রাক্তন বিচারপতিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে তারা। একই চিঠি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকেও পাঠানো হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে কোনও বিজেপি প্রার্থী দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ না করেন, বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলেছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের কথায়, "দেশে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয় মহিলাদের। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য মহিলাদের সেই সম্মান অবক্ষয় করেছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং যে কর্মক্ষেত্র থেকে তিনি এসেছেন, তাঁর কাছে এধরনের মন্তব্য় অপ্রত্যাশিত এবং নিন্দনীয়।"
[আরও পড়ুন: স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক, নিত্যসঙ্গী অভাব! সন্দেশখালির রেখার সম্পত্তি কত?]
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে প্রচারে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে অভিজিৎ বলেছিলেন, “রেখা পাত্র গরিব মানুষ লোকের বাড়িতে কাজ করে খায়, আমাদের প্রার্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সুন্দরী নন, একটু বেশি সুন্দরী। সেই জন্য রেখা পাত্রকে ২ হাজার টাকায় কেনা যায়। একজন মহিলা আরেক জন মহিলা সম্পর্কে কী করে এই উক্তি করতে পারেন আমরা ভাবতেও পারি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা তো! আমার মনে প্রশ্ন জাগে মাঝে মাঝে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? তোমার হাতে তো ৮ লাখ টাকা গুঁজে দিলে একটা চাকরি দাও। তোমার হাতে ১০ লাখ টাকা গুঁজে দেয় এবং দিয়ে রেশন হাওয়া করে দেয় অন্য দেশে। ভারতবর্ষেই থাকে না সেই রেশন। তো তোমার দাম ১০ লাখ টাকা কেন?” অভিজিতের মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পরদিনই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল শাসকদল। সেই দাবি মেনে তমলুকে প্রার্থীকে শোকজ করে কমিশন। সোমবার তার জবাবও দিয়েছিলেন অভিজিৎ। তবে তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট নয় কমিশন।