সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের ১৬৮টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১২ মে রবিবার ওই ১৬৮টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। যদিও বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে খুশি নয়। বিরোধীদের দাবি, এই লোকসভা কেন্দ্রে রিগিং ও কারচুপি হয়েছে প্রচুর। কমিশনের কাছে বিরোধীরা জানিয়েছিল গোটা পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সবকটি বুথেই পুনর্নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু কমিশন বিরোধীদের পুনর্নির্বাচনের দাবি খারিজ করে শুধুমাত্র ১৬৮টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে।
[‘ঔরঙ্গজেবের মতো শতাধিক মন্দির ধ্বংস করেছেন মোদি’, তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেস নেতার]
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১১ এপ্রিল যে ভোট নেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২৬টি বিধানসভা এলাকার মোট ১৬৮টি বুথের ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচন হবে ১২ মে। সেই মতো সংশ্লিষ্ট সব মহলে শুরু হয়েছে জোরকদমে প্রস্তুতিও। কমিশন সূত্রে খবর, ১১ কোম্পানি বিএসএফ এবং ৪ কোম্পানি সিআরপিএফ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। অর্থাৎ প্রায় সব বুথেই থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
গত ১১ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ভোটে ব্যাপক রিগিং ও কারচুপির অভিযোগ করেছিল সিপিএম ও কংগ্রেস। তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দলও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণী কান্তর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনে। এই সব অভিযোগ পেয়েই প্রায় সব বুথের তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখতে শুরু করে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়ে আসা হয় বিনোদ জুৎসিকে। তিনি গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেন। তার আগে প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ ও ওয়েব কাস্টিং পরীক্ষা করে দেখা হয়। তার পরেই কড়া ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন। ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী আধিকারিক সন্দীপ মাহাত্মেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে নির্বাচনের কোনও কাজে রাখা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, ১২ তারিখ পুনর্নির্বাচন হবে ত্রিপুরা পূর্ব কেন্দ্রের নির্বাচনী আধিকারিক তথা ধলাইয়ের জেলাশাসক বিকাশ সিংহের তত্ত্বাবধানে। বিরোধীদের দাবি ছিল অন্তত ৪০০টি বুথে পুনর্নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু কমিশন শেষমেশ ১৬৮টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন ধর বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে তাঁরা ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট। প্রদেশ কংগ্রেস সহ সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।
[ভোট পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে রাহুল ও চন্দ্রবাবু]
The post হিংসার জের, পশ্চিম ত্রিপুরার ১৬৮টি বুথে পুনর্নির্বাচন ১২ মে appeared first on Sangbad Pratidin.