সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলপাইগুড়িতে দুর্গতদের বাড়ি তৈরি করে দিতে পারবে না রাজ্য। নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর থাকাকালীন নতুন বাড়ি তৈরি করা যাবে না। বুধবার দুপুরে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে একথা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিহু উপলক্ষে অসমে উৎসব ভাতা দেওয়ার অনুমতি রয়েছে, অথচ বাংলায় বিপর্যয় সত্ত্বেও কমিশন নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁর প্রশ্ন, অসমে বিজেপি সরকার বলেই কি এহেন সিদ্ধান্ত?
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার – এই তিন জেলাতেই প্রথম দফা অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল ভোট। এর মাঝেই গত ৩১ মার্চ সন্ধের ঝড় তছনছ হওয়ার পর মাঝরাতেই ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত জেগে উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছিলেন। তৃণমূল (TMC) নেত্রীর আরও দাবি, ”ঘরহারাদের বাড়ি তৈরি করে দেব আমরা। কেন্দ্রের টাকা চাই না। আমরাই ৫০০০ বাড়ি নিজেদের খরচে বানাব।" যেহেতু এই মুহূর্তে রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি রয়েছে তাই দুর্গতদের রাজ্য সরাসরি বাড়ি তৈরি করে দিতে পারে না। কমিশনের কাছে অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু সেই অনুমতি দিল না তারা। এমনই দাবি করলেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলের খাতায় মমতার ছবি, রাজ্য ও মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি]
তৃণমূলের সেনাপতির দাবি, কমিশন জানিয়েছে রাজ্য আপাতত নতুন বাড়ি তৈরি করে দিতে পারবে না। তবে বাড়ি মেরামতির জন্য আর্থিক সাহায্য করতে পারে। অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ৫ হাজার এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য় ২০ হাজার টাকা অর্থসাহায্য করতে পারবে রাজ্য। একথা তুলে ধরার পরই অভিষেকের প্রশ্ন, এদের বাংলা বিরোধী বলব না তো কি বলব? আগামী পরশু জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন অভিষেক। সভার পর ক্ষতিগ্রস্ত ১৬০০ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। পাশাপাশি দিল্লিতে যে প্রতিনিধি দল কমিশনের অফিসে গিয়েছিল, তাঁরাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। সবমিলিয়ে জলপাইগুড়ি ইস্যুতে কমিশনকে তুলোধোনা করলেন অভিষেক।
তৃণমূলের 'সেনাপতি' আরও দাবি করেন, প্রতিশ্রুতি মতোই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। অভিষেকের অভিযোগ, "বাংলার রাজ্যপাল বলেই হয়তো ফোন ধরেননি কমিশনার। বাংলার দাবিদাওয়া তুলতে পারেন ভেবেই ফোন ধরেননি।"