সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: শেষ দিনের প্রচারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভবানীপুর। প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সরব বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্দুক উঁচিয়ে ভিড় সামাল দেন বিজেপি নেতার নিরাপত্তারক্ষীরা। এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতায় সরব তৃণমূল। ভবানীপুর কাণ্ডে রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের। বিকেল চারটের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
ভবানীপুর উপনির্বাচনের (Bhabanipur By-Election) শেষবেলায় প্রচারে জোর বিজেপির। সোমবার ৮টি ওয়ার্ডে ৮০ জন বিজেপি নেতার প্রচার করার কথা ছিল। সেই মতো এদিন সকালে ভোটপ্রচারে যান বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। স্থানীয়দের ‘বহিরাগত, গো ব্যাক’ স্লোগান শুনে এলাকা ছাড়েন তিনি। এরপর পটুয়াপাড়ায় প্রচারে বেরোন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণ পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও প্রচারে যান। তাঁকেও বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা মামলায় এবার মদন মিত্রকে CBI তলব, সমন পাঠানো হল বিধায়কপুত্রকেও]
প্রচারে বাধা পেয়ে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যদুবাবুর বাজার সংলগ্ন এলাকা। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা শুরু হয়। দিলীপ ঘোষকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলেও অভিযোগ। তাতেই বাধা দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। মাথা ফাটে এক বিজেপি কর্মীর। তিনি বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা। বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দেয় তারা। “গলায় পা তুলে দেব” বলে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। বন্দুক উঁচিয়ে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের শাসানিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল। টুইটে ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। দিলীপকে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিমও। তিনি জানান, “দিলীপ ঘোষ এমনি ভাল লোক। তবে দলের চাপে পড়ে এসব কথা বলেন।”
বন্দুক উঁচিয়ে শাসানির ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিকেল চারটের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনায় কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা বিজেপিরও।