সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের ভোটের ফল নিয়ে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। এবার পালটা এল কমিশনের তরফে। যা যা অভিযোগ আছে কমিশন দপ্তরে এসে প্রমাণ করুন, একপ্রকার চ্যালেঞ্জের সুরে কংগ্রেসকে জবাব দিল কমিশন।
মহারাষ্ট্রের ভোটের ফলাফলের পর সামগ্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে ভোটগ্রহণ। আবার ভোটগণনা পর্যন্ত ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে হাত শিবির। অভিযোগ, নির্বাচনের প্রায় ৬ মাস আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় থেকেই কারচুপি শুরু হয়েছে। কারণ ভোটার তালিকায় নাম তোলার সময় দেখা যায় প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ১০ হাজার করে নতুন ভোটার সংযোজিত হয়েছে। আবার লক্ষ্যনীয়ভাবে ভোটগ্রহণের দিন আচমকাই শতাংশের হার বেড়ে যায়।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটার তালিকায় ব্যাপক ভুয়ো ভোটারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের শাসক জোটের মদতে প্রচুর জাল আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। ফলে রাজ্যের সব কেন্দ্রেই ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। গত ৬ মাসে প্রায় ৪৭ লক্ষ নতুন ভোটার সংযোজিত হয় তালিকায়। এমন ৫০টি আসন রয়েছে সেখানে গড়ে ৫০ হাজার করে ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা হয়, তুজলাপুর আসনে একই ব্যক্তি বিভিন্ন পরিচয়ে ভোটার কার্ড বানিয়ে ভোট দেয়। এই আসনে ৯৯ সাল থেকে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়ে আসছেন। এবার তিনিই ৩৭ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। আরও অভিযেগ, ভোটগ্রহণের দিন কমিশনের তরফে ৫টার সময় জানানো হয়, ৫৮.২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানে রাত ১১টায় জানানো হয়, শতাংশের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৫.০২। পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি কার্যত অসম্ভব।
কংগ্রেসের সেই অভিযোগের জবাবে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু। এই ধরনের কোনও অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। তবে কংগ্রেসের প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিশন রাজি। আগামী ৩ ডিসেম্বর কংগ্রেসের প্রতিনিধি এবং এজেন্টদের আহ্বান জানানো হচ্ছে, কমিশনের অফিসে এসে ইভিএম বা ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে যা যা অভিযোগ, প্রমাণ-সহ এসে আলোচনা করুন।