চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কয়লা কাণ্ডের তদন্তে তৎপর সিবিআই (CBI)। দফায় দফায় বিভিন্ন এলাকায় চলছে জোর তল্লাশি। শনিবারও তার ব্যতিক্রম নেই। তবে এদিন সিবিআইয়ের তল্লাশির মাঝেই ঘটল বিপত্তি। বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল ইসিএলের এরিয়া সিকিউরিটি ইনচার্জ ধনঞ্জয় রায়ের। রানিগঞ্জের কুনুস্তরিয়া এলাকার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এদিন ইসিএলের (ECL) এরিয়া সিকিউরিটি ইনচার্জ ধনঞ্জয় রায়ের বাড়িতে বেশ সকালেই হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তল্লাশি শুরু হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ইসিএলের এরিয়া সিকিউরিটি ইনচার্জ। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু কোনও চেষ্টাতেই বিশেষ লাভ হয়নি। পরিবর্তে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের পরই হস্তান্তর করা হবে। তবে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগেই ইসিএলের সিকিউরিটি ইনচার্জের মৃত্যু হয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে বাড়িতে তল্লাশির সময় তাঁর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে দানা বেঁধেছে রহস্য। তবে কী অতিরিক্ত মানসিক চাপেই প্রাণ হারালেন ধনঞ্জয় রায়, সেই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গকে দিতে হবে বিশেষ মর্যাদা, অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতে আরজি মিহির গোস্বামীর]
উল্লেখ্য, কয়লা কাণ্ডে তদন্তের ভার সিবিআই নেওয়ার পর রাজ্যের ত্রিশটি জায়গায় শনিবার তল্লাশি শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কয়লা পাচারে যুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার পুরুলিয়া নিতুরিয়ার বাড়িতে তল্লাশির সঙ্গে আসানসোল, পুরুলিয়া, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, বর্ধমানে বিভিন্ন যায়গায় ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা বলে সূত্রের খবর। কয়লা কাণ্ডে আয়কর দপ্তরের তদন্তের পর তা হাতে নিতে চেয়েছিল সিবিআই। সারদা কাণ্ডে তদন্তে যুক্ত সিবিআই আধিকারিকদের এজন্য দিল্লিতে তলব করা হয় বলেও সূত্রের খবর। এদিকে তদন্তে প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে গঠিত ফাইলও আয়কর দপ্তর থেকে চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কিছুদিন আগে আয়কর দপ্তর কয়লাকাণ্ডে যুক্ত লালা ও বেশ কিছু ব্যবসায়ীর কলকাতা, আসানসোলের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি পেয়েছিল। নথির ভিত্তিতে তারা জেনেছে রাজ্যের ভিতর গরুপাচারে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়লা ব্যবসায়ীদের যোগ রয়েছে।