শেখর চন্দ, আসানসোল: নিজের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। আর তা করতে গিয়েই প্রাণ হারালেন ইসিএলের (ECL) নিরাপত্তারক্ষী। কয়লা চুরিতে বাধা পাওয়ায় দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জের কুনুস্তোডিয়া এরিয়ার বাঁশরা ওসিপি এলাকায়।
মৃত বছর একত্রিশের নিরাপত্তারক্ষীর নাম মনোজ চৌহান। অন্ডাল (Andal) থানার জামবাদ বেনিয়াডিহি এলাকার বাসিন্দা তিনি। ইসিএলের রেলওয়ে সাইডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন মনোজ। তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠল এলাকারই বেশ কয়েকজন কয়লা চোরদের বিরুদ্ধে। তারা ওই নিরাপত্তারক্ষীকে কয়লা কাটার গাইতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: হিমাচলে ট্রেকিংয়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, বাড়ি ফিরল কফিনবন্দি দেহ, কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার]
সোমবার সকাল ৬ টা নাগাদ অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা (Security Guard) লক্ষ্য করেন মনোজের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তারপরেই কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। মনোজ চৌহানের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ।
ইসিএলের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, কয়লা (Coal) চুরি করতে আসা চোরেদের বাধা দিয়েছিলেন মনোজ। নিজেদের উদ্দেশ্যসাধন না হওয়ায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নৃশংস খুনের ঘটনার পর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হন। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে চাকরি ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বাংলায় কয়লা ও গরু পাচারের মতো কেলেঙ্কারির দ্রুত কিনারা করতে গোড়া থেকে দ্রুততার সঙ্গে কাজ চালাচ্ছে একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূল তদন্তে সিবিআই যতটা সক্রিয়, কেলেঙ্কারির আর্থিক দিকগুলি দেখতে ঠিক ততটাই সক্রিয় ইডিও (ED)। তাই এই দুই কাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম উঠে এসেছে, তাদের সকলের বাড়ি, অফিস স্ক্যানারে এনেছেন তদন্তকারীরা। নজরে রয়েছে কেন্দ্রীয় কয়লা সংস্থা ইসিএল-ও।