সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) পর ইডির হাতে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এদিন ইডি আধিকারিকরা চার ঘণ্টা ধরে জেরা করেন সায়গলকে। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শোনা যাচ্ছে, আসানসোল বিশেষ আদালতে সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আরজি জানিয়েছে ইডি।
গরুপাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। ৯ জুন সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। ওইদিন দুপুর ২ টোর বেশ কিছুটা পর নিজাম প্যালেসে পৌঁছন সায়গল। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। দফায় দফায় চলে জেরা। ম্যারাথন জেরার পর সন্ধেয় গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্পত্তির হিসেবে দিতে পারেননি ধৃত। তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। বক্তব্যে মিলেছে একাধিক অসংগতি। সেই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। তারপর একাধিকবার সায়গল জামিনের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি।
[আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলার ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ অনুব্রত, গ্রেপ্তারির ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের]
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসানসোল জেলে যায় ইডির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁদের মধ্যে তিনজন ছিলেন দিল্লির আধিকারিক। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরার পর সায়গলকে গ্রেপ্তার করে ইডি। শোনা যাচ্ছিল, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি। সায়গলকে দিল্লিও নিয়ে যাওয়া হতে পারে। যদিও আবেদনের পদ্ধতি ও সময়ের প্রতিবন্ধকতাকে সামনে রেখেই ইডির আবেদন এদিন শোনেইনি আদালত। অর্থাৎ আপাতত সাইগলকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি। এদিকে এদিন গরুপাচার মামলায় চার্জশিট পেশের পরই আসানসোল সংশোধনাগারে যান সিবিআই আধিকারিকরা। জেরা করা হয় অনুব্রতকে।
এদিন গরুপাচার প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সম্পূর্ণ আইনের বিষয়। তবে এই গরুপাচার যখন বাংলা দিয়ে হয় তখন দেখতে পান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের কারা পৃষ্ঠপোষকতা করল তাদের দেখতে পেল না সিবিআই। চার্জশিটের চিত্রনাট্য বাংলায় এলেই প্রতিফলিত।”