বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবসার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও তোপ দাগলেন। তাঁর দাবি, বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ভয় দেখাচ্ছে ইডি। ওঁরা তল্লাশি করে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করলে তার সিজার লিস্টও দেয় না বলেও অভিযোগ।
নির্বাচনের আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সক্রিয়তা নিয়ে সরব হন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “আমাদের উপর বিজেপির খুব রাগ। কারণ আমরা ভয় পাই না।” এর পরই অভিষেকের সম্পত্তি ‘অ্যাটাচ’ করা নিয়ে তোপ দাগেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, “অভিষেক তো ইয়ং ছেলে। বিয়ে করেছে। বউ আছে, দুই ছেলেমেয়ে আছে। বাড়িতে বসে থাকলে তো খাবার আসবে না। কিছু তো করতে হবে। ও একটা ব্যবসা করত। সব সম্পত্তি অ্যাটাচ (বাজেয়াপ্ত) করে নিয়েছে।” কিন্তু কে বা কারা এই কাজ করেছে তা স্পষ্ট করেননি মমতা। তবে মনে করা হচ্ছে তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। শেষে মমতার হুঙ্কার, “আমি আগে কখনও এই কথা বলিনি। কারণ আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমাদের যা আছে নিয়ে নাও। কিন্তু লোকতন্ত্র কেড়ে নেবেন না।”
[আরও পড়ুন: মাদক পাচারের ঘাঁটি গুজরাট বন্দর! এবার বাজেয়াপ্ত ৪৫০ কোটির ড্রাগস, গ্রেপ্তার ৬ পাকিস্তানি]
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই বাংলায় ‘অতিসক্রিয়’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। কখনও নিয়োগ দুর্নীতি তো কখনও রেশন দুর্নীতি, কখনও কয়লা পাচার তো কখনও গরু পাচার নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে তারা। তৃণমূল বার বার অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই সমস্ত অভিয়ান চালানো হচ্ছে। তদন্তের সূত্র ধরে একের পর এক নেতা-মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বার বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তলব করা হয়েছে। তিনি হাজিরাও দিয়েছেন। এবার অভিষেকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার খবর সামনে এল।