সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিপাকে রাজ্য সরকারি প্যানেলভুক্ত আইনজীবী সঞ্জয় বসু! তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে। তবে অযথা ডেকে পাঠিয়ে হয়রানি বা ভিত্তি ছাড়াই সঞ্জয় বসুর অফিস কিংবা বাড়িতে তল্লাশি করা যাবে না। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। হাই কোর্টের বিচারপতির রায়ের একটি অংশ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে মূল মামলা কলকাতা হাই কোর্টে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না। এমনকী, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো যাবে না। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। সেঅ আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যম ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন লুইজিনহো ফ্যালেইরো, দলের সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়ল]
ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার একাধিক মামলায় আইনজীবী ছিলেন সঞ্জয় বসু। সেই সূত্র ধরেই ইডির স্ক্যানারে আসেন তিনি। ১ মার্চ তাঁর বাড়ি গিয়ে দিনভর বসিয়ে জেরা করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা। প্রায় ২৩ ঘণ্টা তল্লাশি চলে তাঁর বাড়িতে। তারপর ফের ১০ মার্চ সঞ্জয় বসুকে ইডির দপ্তরে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল।
সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে যান সরকারি প্যানেলভুক্ত আইনজীবী সঞ্জয় বসু। গ্রেপ্তারির আশঙ্কায় সঞ্জয় বসু আগাম জামিনের আবেদন করেন। সেই মামলায় ইডি সমনের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ (Stay order) জারি করে আদালত। বলা হয়, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সামনে হাজিরা দিতে হবে না আইনজীবীকে। এমনকী, আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর অফিস ও বাড়িতে কোনও তল্লাশি করতে পারবে না ইডি। এদিন শীর্ষ আদালতে সেই নির্দেশের একাংশ বহাল রাখল।