সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমি দুর্নীতি মামলায় চাপ আরও বাড়ল কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। এবার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আর্থিক তছরুপ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এই মামলায় যুক্ত আরও একাধিক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সূত্রে সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়ায় এই মামলায়। সেই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট। এর পর কর্নাটকের লোকায়ুক্ত আদালতের নির্দেশে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিপাকে পড়ে রাজ্যপালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।
হাই কোর্টে সিদ্দারামাইয়া দাবি করেন, রাজ্যপালের নির্দেশ সম্পূর্ণ ‘বেআইনি’। তাঁকে এবং রাজ্য সরকারকে বদনাম করাই প্রধান উদ্দেশ্য। যদিও হাই কোর্টের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের নির্দেশ কোনওভাবেই বেআইনি নয়। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। এই নির্দেশের পর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের খাঁড়া আরও স্পষ্ট হয়। এবার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নামল ইডি।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার এক বছরের মধ্যেই গুরুতর অভিযোগ ওঠে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। ৩ জন আন্দোলনকারী রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিদ্দারামাইয়া নথিপত্র বদলে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ বা মহীশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে মহার্ঘ প্লট সস্তায় পাইয়ে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন। এর জেরে কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দেন।