সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), পরেশ অধিকারী নন, শুক্রবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১৩ জায়গায় হানা দিল ইডি। তালিকায় রয়েছে ৭ হেভিওয়েটের নাম। তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালালে গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলতে পারে বলে আশাবাদী ইডি।
শুক্রবার সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এরপরই একে একে ১৩ জায়গায় তল্লাশির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন সকালে মোট ৮০ থেকে ৯০ জন ইডি আধিকারিক একসঙ্গে অভিযানে যান। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান ৭ থেকে আটজন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও যান বেশ কয়েকজন অফিসার। বেআইনি পথে তাঁর মেয়েকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। হাই কোর্টে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিক হওয়ায় চাকরি খোয়াতে হয়েছে পরেশ কন্যা অঙ্কিতাকে।
[আরও পড়ুন: মার্গারেট আলভাকে সমর্থন নয়, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবে তৃণমূল]
নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল তৎকালীন SSC উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহার। সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও করেছিল। শুক্রবার তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি আধিকারিকরা। প্রাক্তন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি আধিকারিকরা। একই সঙ্গে পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী কমিটি ও বাগদার চন্দন মণ্ডলের বাড়িতেও গিয়েছে ইডি। প্রতি ক্ষেত্রেই তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে চন্দন মণ্ডলের বাড়ি তালা বন্ধ, বাড়িতে কাউকে না পেয়ে বাড়ির সামনে অপেক্ষায় EDর প্রতিনিধিরা।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেনের বিষয়টা তদন্তের দায়িত্বে ইডি। এদিন এই ৭ হেভিওয়েটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর্থিক লেনদেনের বিবরণ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে টাকা পয়সা নেওয়া হয়েছে, পিছনে কে বা কারা ছিলেন। কে কতটা লাভবান হয়েছেন, তা জানার চেষ্টায় ইডি। আর সেই কারণে এই সাত হেভিওয়েটের সম্পত্তির বিবরণ ও আয় ব্যয়ের হিসেব খতিয়ে দেখতে চাইছে তদন্তকারীরা। এদিন জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশির সম্ভাবনাও রয়েছে। ইডি আধিকারিকদের হাতে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ নথি।