সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাওমির পর এবার নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা VIVO। আর্থিক লেনদেনে বেআইনির অভিযোগে বিখ্যাত এই চিনা মোবাইল সংস্থা এবং এর সহযোগী একাধিক সংস্থার অন্তত ৪৪টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চিনা সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেনের উপর বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়তি নজর দিচ্ছে সরকার। ভিভোর বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি তারই ফলশ্রুতি।
ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রের খবর, দিল্লি, হরিয়ানা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভিভোর বেশ কিছু কারখানা এবং শোরুমে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। মূলত, সংস্থার লেনদেন এবং মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কোনওরকম অনিয়ম আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। চলতি বছরের এপ্রিলেই ভিভোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক (Ministry of Corporate Affairs) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চিনা স্মার্টফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ মিলেছে।
[আরও পড়ুন: হিন্দু দেবদেবীর ছবি দেওয়া কাগজে মুড়ে মাংস বিক্রি, হাজতে যোগী রাজ্যের প্রৌঢ়]
আরেক চিনা সংস্থা শাওমি টেকনোলজি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের (Xiaomi Technology India Private Limited) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে ইডি। সংস্থাটি এদেশে এমআই (MI) ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন বিক্রি করে। তাদেরই একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৫ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেআইনি ভাবে টাকা সরানোর অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল ইডির গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: উদ্ধবের সঙ্গে সন্ধির বার্তা? আদিত্য ঠাকরের বিধায়ক পদ বাতিলে পদক্ষেপ করছে না মহারাষ্ট্র সরকার]
শাওমির পরই নজর দেওয়া হয় ভিভোর দিকে। আরেক চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা ZTE’র দিকেও নজর রয়েছে কেন্দ্রের। বস্তুত, ২০২০ সালে চিন-ভারত সীমান্তে দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের পর থেকেই দেশে চিনা সংস্থাগুলির কার্যকলাপে নজর রয়েছে দিল্লির। এরপর ২০০ চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। এর মধ্যে আলিবাবা, টিকটক, শাওমি ফোন অ্যাপও রয়েছে। অন্যদিকে চিনা ঋণদানের অ্যাপগুলির উপরেও নজর রয়েছে কেন্দ্রের।