অর্ণব আইচ: দুবাইয়ে শংকর আঢ্যর সংস্থার সন্ধান পেল ইডি। অভিযোগ, শংকরের ছেলের নামে থাকা ওই সংস্থায় লগ্নি করার নামেই বিদেশে পাচার হয়েছে রেশন দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ টাকা। ইডির দাবি, শংকর আঢ্যর মাত্র একটি সংস্থার দশ বছরের ‘টার্নওভার’ এক হাজার কোটি টাকা। ওই সংস্থাটির মাধ্যমেও বিপুল মুদ্রা বিনিময় হয়। শংকর ও তাঁর পরিবারের নামে যে ১১টি ফোরেক্স সংস্থার সন্ধান মিলেছে, সেগুলির মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হয়েছে।
এদিন ইডির আদালতে আবেদনে ইডি জানিয়েছে, শংকর আঢ্যর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট চারটি ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে তাঁর সাড়ে তিনশো কোটি টাকা বৈদেশিক বিনিময় মুদ্রায় পরিণত হয়েছে। শংকরের অন্য একটি সংস্থার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিণত হয়েছে ১১৭ কোটি টাকা। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে শংকর আঢ্যর সংস্থার টার্নওভার হাজার কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন: রামের অযোধ্যায় হোটেল পাচ্ছেন না খোদ লক্ষ্মণ, ‘ক্ষুব্ধ’ সুনীল! মন্দির উদ্বোধনের আগেই ফিরতে হচ্ছে?]
এখনও পর্যন্ত শংকর আঢ্য, তাঁর স্ত্রী, মা, ছেলে, মেয়ে, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, শ্যালকের নামে যে ১১টি ফোরেক্স সংস্থা রয়েছে, সেগুলির মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার মুদ্রা বিনিময় হয়েছে। শংকর সব জেনেশুনেই নিজেকে দুর্নীতিতে যুক্ত করেছেন ও রেশন বন্টন দুর্নীতির টাকা পাচারে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। দুর্নীতির টাকা শংকর নিজের কাছেই রেখেছিলেন ও সেই টাকাই পাচার হয়। নগদেই ৯৯ শতাংশ টাকার ‘টার্নওভার’হয়। শংকরের কর্মীরা বিভিন্ন ব্যক্তির নামের নথির আইডি তৈরি করতেন। সেই আইডি-র মাধ্যমেই টাকার বিনিময় হত। তল্লাশি চালিয়ে কয়েকশো নথি ইডি উদ্ধারও করে। ইডির দাবি, শংকর আঢ্যর ছেলে শুভর নামে দুবাইয়ে একটি বিদেশি কোম্পানি রয়েছে। ওই সংস্থায় রেশন বন্টন দুর্নীতির বিপুল টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।