অর্ণব আইচ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি একাধিক চার্জশিট পেশ করেছে। এবার নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। এই মামলায় ইডি ইতিমধ্যেই এসএসসির প্রাক্তন কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও মূল এজেন্ট প্রসন্ন রায়কে গ্রেপ্তার করেছে।
ইডি ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার শান্তিপ্রসাদ সিংহ ও প্রসন্ন রায়-সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট দাখিল করেছে। এছাড়াও প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে যুক্ত ৯৩টি সংস্থার বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে মূল পাতার সংখ্যা প্রায় ৩০০। যদিও নথি-সহ ১৭ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়। সাক্ষীর সংখ্যা ২০ জনেরও বেশি। চার্জশিটে উল্লেখ করা আছে যে, ২৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। নগদ ও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রসন্ন রায় তাঁর নিজের এজেন্টদের মাধ্যমে বিপুল টাকা তুলতেন। প্রত্যেকটি জেলা থেকেই বিপুল টাকা তোলা হয়। এর পর সেই কালো টাকা ৯৩টি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়। এই চক্রের কাণ্ডারী ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এমনই অভিযোগ ইডির।
[আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমই হাতিয়ার জালিয়াতদের! অভিনব কায়দায় প্রতারণা রাজ্যে]
এই মামলায় নবম, দশম শ্রেণির শিক্ষকের ক্ষেত্রে অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ১২০ ও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ৯৪৬। প্রসন্ন ও শান্তিপ্রসাদ ছাড়া বেশ কয়েকজন এজেন্টের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইডি এই মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে, যাঁরা এখন সিবিআইয়ের মামলায় জেলবন্দি। তাঁদের মধ্যে এসএসসির কয়েকজন প্রাক্তন কর্তাও রয়েছেন বলে অভিযোগ ইডির। এই মামলায় এখনও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইডি।