সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গরু পাচারের (Cattle Smuggling) মতো হাই প্রোফাইল মামলার কিনারায় যৌথভাবে কাজ করছে কেন্দ্রের দুই তদন্তকারী সংস্থা – ইডি, সিবিআই। গ্রেপ্তার হচ্ছেন একের পর এক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা। এই পাচার কাণ্ডের সুতো যে কোথা থেকে কোথায় গিয়েছে, তা এখনও ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারছেন না দুঁদে গোয়েন্দারাও। এবার তাঁদের নজরে আইপিএস অফিসাররা। সূত্রের খবর, রাজ্যের ৫ আইপিএসকে তলব করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ডিসেম্বরের শুরুতেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হতে পারে দিল্লিতে।
ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় এবার ইডির স্ক্যানারে ৫ আইপিএস (IPS) অফিসার। তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও বীরভূমে (Birbhum) দায়িত্ব সামলানো প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদা সম্পন্ন ২ আইপিএস, ২ পুলিশ সুপার। আইপিএস হুমায়ুন কবীর তথা বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ককেও ডেকে পাঠানো হতে পারে। পাঁচ আইপিএস অফিসারকে ডিসেম্বরের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে দিল্লিতে (Delhi) ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: পোশাক নিয়ে মহিলাদের অসম্মান, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চাইলেন রামদেব]
আসলে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম – দুই জেলাই সীমান্তবর্তী। এখান দিয়ে সর্বাধিক গরু পাচার হয়ে থাকে। তাই এই দুই জেলার পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব সামলানো আধিকারিকদের তলব করে ইডি জানতে চায়, তাঁদের সময়ে পাচার সংক্রান্ত কোনও কিছু আঁচ পেয়েছিলেন কি না। পেয়ে থাকলে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর আইপিএসদের কাছে জানতে চাইতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জিতবে’, আদালতে ঢোকার আগেও আত্মবিশ্বাসী পার্থ]
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সিবিআইয়ের পর ইডির হাতে গ্রেপ্তার। এছাড়া প্রাক্তন বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমার, ব্যবসায়ী এনামুল হকের মতো হেভিওয়েটদের জালে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে এই চক্রের সঙ্গে কোনওভাবে পুলিশ প্রশাসনের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে চায় ইডি।
রাজ্যের আইপিএস-দের ইডির তলব নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) প্রতিক্রিয়া, ”গরু আসছে কোথা থেকে? পশ্চিমের রাজ্য থেকে। কেন্দ্রের পুলিশ। গরু কি উড়ে আসে? হেঁটে আসলে তাদের পুলিশ কিছু করতে পারছে না? অমিত শাহের পুলিশ আছে। আসছে অন্য রাজ্য থেকে, অমিত শাহের বিএসএফ পাহারায়। তাহলে এই প্রশ্ন কোথা থেকে? বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকাডাকি করছে। বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার জন্য এজেন্সি অন্য কথা বলুক।”