নন্দন দত্ত, সিউড়ি: গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের লাভের টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে এমনই নজির সামনে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। সেই সূত্র ধরেই আরও নতুন তথ্য হাতে পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। সূত্রের খবর, এবার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা ও ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ নভেম্বর দিল্লিতে ডেকে পাঠাল ইডি।
সিবিআইয়ের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। গরুপাচার মামলায় এবার ইডির নজরে অনুব্রতর সম্পত্তি। সিবিআইয়ের পরে এবার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করল ইডি। দিল্লিতে ইডির হেফাজতে আছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবারই তাঁকে আরও ৮ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে ইডি। এরই মধ্যে দিল্লিতে তলব করা হল সুকন্যাকে। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে এল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান ইডির তদন্তকারী। সূত্রের দাবি, এর আগে সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা বলেছিলেন, যা জানার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি বলবেন।
[আরও পড়ুন: কেন চাকরি গেল টুইটারের প্রাক্তন CEO পরাগ আগরওয়ালের? কত টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন?]
প্রসঙ্গত, ১৭ অগাস্ট প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। ওই দিন বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে আসে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি। এরপর গত মাসে অভিযান চালিয়ে মণীশের বাড়ি ও অফিস থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করে সিবিআই। সেই তথ্য খতিয়ে দেখার পর তদন্তকারী সংস্থা একাধিক বার তাঁকে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দপ্তরে তলব করে। একই সঙ্গে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
সিবিআইয়ের কাছে জমা দেওয়া নথির মধ্যে ছিল বেশ কিছু সম্পত্তির দলিল ও একাধিক ডিড। যা বেনামী সম্পত্তির হদিশ বলে দাবি করছে সিবিআই। মণীশের তরফে সেই সকল নথি সম্বলিত তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। একইসঙ্গে তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, সেই নথির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে নতুন করে আরও সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য। শুধু হিসেবরক্ষক নয়, ব্যাংক থেকেও বিস্তারিত তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। যা আগামী দিনে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার হতে পারে সিবিআই এবং ইডি’র বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।