সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে বড়সড় সংকটের মুখে অনলাইন বিপণি সংস্থা ফ্লিপকার্ট (Flipkart)। তাদের নোটিস ধরিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অভিযোগ উঠেছে, দশ হাজার ছ’শো কোটি টাকার হিসাব গরমিলের। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, গত মাসেই প্রথম সারির ই’কম পোর্টাল সংস্থাটির কাছে নোটিস পাঠানো হয়ে গিয়েছে। এবং ৯০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের।
অপর দিকে ফ্লিপকার্টের তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয় সংস্থা হিসাবে দেশের সমস্ত আইন এবং নিয়ম মেনে চলতে তারা বাধ্য। এমনকী, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই সংক্রান্ত সমস্ত আইনই তারা অনুসরণ করে চলে বা চলবে। এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে সে বিষয়ে সমস্ত রকম তথ্য দিয়ে সাহায্য করতেও তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ফ্লিপকার্ট।
[আরও পড়ুন: Vodafone Idea-র শীর্ষপদ ছাড়লেন কুমারমঙ্গলম বিড়লা, সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ]
২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিদেশি বিনিযোগের ক্ষেত্রে দশ হাজার ছ’শো কোটির গরমিল হয়েছে বলে ফ্লিপকার্টের কাছে পাঠানো নোটিসে ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ই’কম পোর্টালটির তরফে। ২০০৭ সালে অ্যামাজনের (Amazon) চাকরি ছেড়ে সংস্থার দুই ভারতীয় উচ্চপদস্থ কর্মী শচীন ও বিন্নি বনশল তৈরি করেন ই’কম পোর্টাল ফ্লিপকার্ট।
তারপর থেকে দেশের ই’কমার্স ক্ষেত্রে জেফ বেজোসের বহুজাতিক সংস্থা অ্যামাজনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে তারাই। তবে যে কোনও সংস্থার পক্ষেই বিদেশি মুদ্রা আইন বা বিদেশি বিনিয়োগ আইন গুরুতর সমস্যা। কিন্তু ফ্লিপকার্টের মুখ্যপাত্র জানিয়েছেন, তদন্তে তাঁরা ইডির সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতা করে চলবেন। তবে শচীন এবং বিন্নি বনশলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।