সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় বোর্ড (BCCI) থেকে তিন বার শ্রেষ্ঠ কিউরেটরের পুরস্কার পেয়েছেন। ইডেন পিচের আমূল যে পরিবর্তন গত কয়েক বছর ধরে দেখা যায়, তার স্রষ্টাও তিনি। মহেন্দ্র সিং ধোনি থেকে বিরাট কোহলি– ভারতীয় ক্রিকেটের বহু নক্ষত্র ইডেনে খেলতে এসে অকাতর শংসায় বারবার ভরিয়ে গিয়েছেন তাঁকে, তাঁর পিচ দেখে। এবং ইডেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়(Sujan Mukherjee) এত দিনের পিচ-সাধনার পুরস্কারও এবার পেয়ে গেলেন। ভারতীয় বোর্ডের পিচ কমিটিতে ঢুকে পড়লেন বঙ্গ কিউরেটর।
গত রাতে সুজন জানতে পারেন, বোর্ডের পিচ কমিটিতে রয়েছেন তিনি। কমিটির প্রধান ত্রিপুরার আশিস ভৌমিক। “খবরটা শুনে দারুণ লেগেছিল। বোর্ড, সিএবি, সৌরভ (গঙ্গোপাধ্যায়) সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ,” বৃহস্পতিবার ফোনে বলছিলেন সুজন। প্রায় সাত বছরের কাছাকাছি ইডেন পিচের দায়ভার সামলাচ্ছেন। সেটাও প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া সিংহাসনে? কতটা কঠিন ছিল পূর্বতন মুখুজ্জ্যেমশাইয়ের ছেড়ে যাওয়া সিংহাসন সামলানো? কতটা কঠিন ছিল ইডেন পিচের চরিত্র সম্পূর্ণ বদলে ফেলা?
[আরও পড়ুন: বিরাটকে সরিয়ে রোহিতকে ওয়ানডে অধিনায়ক করা কি ঠিক? মুখ খুললেন রবি শাস্ত্রী]
এককালে ইডেন (Eden Gardens) পিচ ছিল মন্থর, স্লো টার্নার। রান উঠত না, বিতর্কও হত দেদার। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে ঘাস থেকে মাটি- সব কিছু পরিবর্তন করে পুরো পাল্টে ফেলা হয় পিচ। গতি-বাউন্স দু’টোকেই ফিরিয়ে আনা হয়। পেসাররা সুবিধে পেতে শুরু করেন, স্ট্রোক প্লেয়ারদের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠে ইডেন।
“আমি একা কিছু করিনি। মাঠকর্মীদেরও সামন অবদান রয়েছে বর্তমান ইডেন পিচ তৈরির নেপথ্যে। তবে হ্যাঁ, আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন মাঠকর্মীদের মধ্যে কোনও সংস্কৃতি ছিল না। যে যার ইচ্ছেমতো আসত, যা ইচ্ছে করত। প্রবীরবাবুর সময়ে পিচ নিয়ে যে বিতর্ক হত, তার জন্য অনেকটা দায়ী কিন্তু সেই সময়কার মাঠকর্মীরা,” বলতে থাকেন সুজন।
“কিন্তু আমি যদি এখন কুড়ি দিন মাঠেও না যাই, তাতেও কিছু যাবে আসবে না। ঠিক যে ভাবে সব চলার কথা, সে ভাবেই চলবে। দেখুন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর একটা জিনিসই চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম যে, এমন পিচ তৈরি করব যেখানে খেলা দেখে আনন্দ পাবে মানুষ। ভাল ব্যাটিং-বোলিং দু’টোই দেখতে পাবে। খেলা তো লোকে দেখতে আসে বিনোদনের জন্য। তাই না?” বলে দেন ইডেনের মুখুজ্জ্যেমশাই। সরি, মুখুজ্জ্যেমশাই টু!