সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামিন পেয়েছেন শুক্রবার রাতে। রবিবাসরীয় সকালে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘোষণা, “দুদিন বাদেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ব। জনতার রায়ে জিতে আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।” তাঁর দাবি, নভেম্বরেই দিল্লিতে ভোট করানো হোক। আর তার পর থেকেই চাঞ্চল্য রাজনৈতিক আঙিনায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এমন ঘোষণায় কি আখেরে 'বিপদ' বাড়ল আপ সুপ্রিমোর? নাকি এটা মাস্টারস্ট্রোক?
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই 'বাড়তি অক্সিজেন' দেবে আপকে। কেননা এর ফলে তাঁর যে কুর্সির মোহ নেই এটা জনমানসে তুলে ধরতে পেরেছেন কেজরিওয়াল। সেই সঙ্গেই তিনি জনাদেশ নিয়েই ফিরতে চাইছেন, একথা বুঝিয়ে তিনি পরিষ্কার করে দিলেন, জনতাই বলুক শেষ কথা। দুর্নীতির অভিযোগে কেজরি, সিসোদিয়াদের জেলযাত্রার 'নেগেটিভ' বাতাবরণকে এর ফলে দূরে সরিয়ে দেওয়া গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আবার ইস্তফার সিদ্ধান্ত কেজরিকে ব্যাকফুটেই ঠেলে দিল এমনও মতও কিন্তু রয়েছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই এই ঘোষণাকে 'নাটক' বলে তোপ দেগেছে। গেরুয়া শিবিরের নেতা হরিশ খুরানা বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টা কেন। রবিবারই তো ইস্তফা দিতে পারতেন কেজরিওয়াল। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, আজ হোক বা কাল, নির্বাচন হলেই ২৫ বছর পরে দিল্লির তখতে তাঁদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত।
আর একটা সমস্যা রয়েছে। কেজরির ইঙ্গিত, তিনি তো ননই। সিসোদিয়ার মতো শীর্ষ নেতাও মুখ্যমন্ত্রিত্বের আসনে বসবেন না। অপেক্ষা করবেন জনাদেশের। ফলে আপাতত দলকে এবার বাকিদের মধ্যে কাউকে বেছে নিতে হবে। অতীতে বিহারে জিতনরাম মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। ঝাড়খণ্ডে একই কাজ করেছিলেন হেমন্ত সোরেন। আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন চম্পাই সোরেন। এছাড়াও সময়ের আগে নির্বাচনের ঘোষণা 'দুমুখো তলোয়ার'। এর অর্থ অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়া। আর্থিক দুর্নীতির 'কালিমা' এত তাড়াতাড়ি কি মুছতে পারবেন কেজরিরা? প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে। উত্তরের জন্য আপাতত অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই। ততদিন জল্পনা ক্রমেই জোরদার হবে।