এ বছরের ‘ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার’ (‘WotY’) ঘোষিত। ‘ব্রেন রট’ বেছেছে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের বাছাই ‘ম্যানিফেস্ট’, মরিয়ম-ওয়েবস্টারের তালিকায় রয়েছে ‘পোলারাইজেশন’ ইত্যাদি। সারা বছর মানুষ ঠিক কেমন রইল, তারই ঝলক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা থাকে শব্দ-নির্বাচনের মধ্যে। কী করে রূপ পেল এই প্রবণতা? লিখছেন অরুন্ধতী দাশ।
জার্মান ভাষার একটি শব্দ ‘aufmüpfig’।
১৯৬০-এর দশকে প্রচলিত সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ‘বিকল্প সংস্কৃতি’ জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা– ছাত্র আন্দোলন যে সংস্কৃতিকে বরণ করে নিচ্ছিল এই দশক জুড়ে– পরের দশকের একেবারে শুরুতে– ১৯৭১ সালে এই ‘বিদ্রোহ’ বা ‘স্বাধীনতাকামী’ জার্মান শব্দটিকে সেই বছরের সবচেয়ে ‘প্রভাবশালী শব্দ’ বলে স্বীকৃতি দিল ‘Gesellschaft für deutsche sprache’– জার্মান ভাষার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ল্যাঙ্গোয়েজ সোসাইটি। সারা পৃথিবীতে সেই প্রথম চালু হল ‘ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার’ (WotY) হিসাবে কোনও একটি শব্দকে বেছে নেওয়ার রেওয়াজ। বছর শেষের মুখে, প্রতি ডিসেম্বরে, ঘোষিত হয় এমন একটি শব্দ, যাকে দিয়ে গোটা বছরটার একটা প্রবণতাকে চিহ্নিত করা যেতে পারে, ওই বছরের মূর্ত প্রতীক হিসাবে যাকে ব্যক্ত করা যেতে পারে শব্দের আধারে। ১৯৭১-এ শুরুটা একবারের জন্য হয়েছিল ঠিকই, তবে নিয়মিত হিসাবে বলতে গেলে ১৯৭৭ থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতি বছরই এভাবে কোনও-না-কোনও শব্দকে ‘Gfds’ বেছে নিয়েছে ‘WotY’ রূপে।
সারা বছরের অনেক কথার মধ্যে একটি শব্দকে বেছে নেওয়ার এই আনুষ্ঠানিকতায় অস্ট্রিয়াও এসে যোগ দেয় ১৯৯৯ সালে।
তাদের প্রথম বছরে বেছে নেওয়া শব্দটি ছিল ‘pluricentric’। এই ‘pluricentric’ বা ‘polycentric language’ হল সেইসব ভাষা, যাদের একাধিক ‘মান্য’ ভাষারূপ রয়েছে, এবং তা বহু ক্ষেত্রেই হয়তো ছড়িয়ে আছে একাধিক দেশে, ভৌগোলিক সীমানার রাজনৈতিক কঁাটাতার অতিক্রম করেই। যেমন ধরুন– ইংরেজি। এই ইংরেজির একাধিক মান্য ভাষারূপ রীতিমতো লিপিবদ্ধ আকারে মিলবে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, ভারত এবং আরও বেশ কয়েকটি ভূখণ্ডে। এমনকী, একই দেশের ভিতরেও থাকতে পারে একটি পলিসেন্ট্রিক ভাষার একাধিক প্রচলিত মান্য রূপ– যেমন হিন্দি এবং উর্দু। খুব ভাল করে খেয়াল করলেই টের পাওয়া যায়, আসলে এগুলোর মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে ভাষিক উদারতারই মূলগত নীতি, ভাষাপ্রগতির নতুন সংজ্ঞা। তাই অস্ট্রিয়ানরা একেবারে খাতায়কলমে স্বীকার করেই নিল, দেশকালের বেড়া ভেঙে শব্দ বাছাইয়ের এই খেলা যদি শুরু করতেই হয়, তাহলে গোড়ার বাছাই হিসাবে এর চেয়ে ভালও আর মানানসই শব্দের জুড়ি মেলা ভার!
ইংরেজি ভাষায় এই পথটা দেখিয়েছিল ‘আমেরিকান ডায়ালেক্ট সোসাইটি’। একদল স্বাধীন ভাষাবিজ্ঞানী, যঁারা কোথাও কোনও বাণিজ্যিক স্বার্থে জড়িয়ে নেই, তঁারা-ই বছর বছর ডিসেম্বর মাসে রীতিমতো ভোট দিয়ে কোনও একটি শব্দকে বেছে নেন। তবে ‘আমেরিকান ডায়ালেক্ট সোসাইটি’ ‘WotY’ ছাড়াও শব্দ নির্বাচনের আরও বেশ কয়েকটি ক্যাটেগরি চালু করেছে। তার কোনওটা বোঝায় সেই বছরের ‘most outrageous’ শব্দ, কোনও শব্দ চিহ্নিত হয় ‘most creative’ বলে, আবার কখনও তারা খুঁজে নেয় বছরের ‘most likely to succeed’ শব্দ। গত বছর বেছে নিয়েছিল ‘enshittification’ শব্দটিকে, যার মানে করলে দঁাড়ায়– অনলাইন কেনাবেচার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মানের অবনতি। প্রাথমিকভাবে অতি উচ্চগুণমানের জিনিস বিজ্ঞাপিত করা হয়। চোখ-ধঁাধানো রকম আকর্ষক ছাড়ের লোভ দেখিয়ে ক্রেতার নজর টেনে আনা হয় বাজারচলতি হাতেগরম কেনার ‘বিকল্প’ থেকে। অপছন্দ হলেই বিনামূল্যে ফেরত অথবা সমূল্য রিফান্ড অথবা পরিবহণ-মূল্য বাবদ ডেলিভারি ফি সম্পূর্ণ মকুব– এহেন নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার মায়াস্বপ্ন দেখিয়ে ক্রেতার আস্থাটিও অর্জন করা যায় ভরপুর, আর তারপরেই বেশি মুনাফার লোভে পরিসেবার অবধারিত অবনতি। নেটাগরিকদের সাম্প্রতিক জীবনযাপনের সঙ্গে এমনই জড়িয়ে গিয়েছে শব্দটি, যে, অস্ট্রেলিয়ার ‘ম্যাকিউয়ারি ডিকশনারি’ একেই গেলবারের ‘WotY’ বলে ঘোষণা করতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছিল।
এই যে ‘বাধ্য হওয়া’ শব্দবন্ধটি, তা আমিও একপ্রকার বাধ্যতই ব্যবহার করে ফেললাম, তার পিছনেই আসলে লুকিয়ে আছে এই শব্দ নির্বাচনের আসল খেলা। ‘লেক্সিকোগ্রাফি’ বা ‘অভিধান নির্মাণ’ বিষয়টির আপাত তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক খুঁটিনাটি যদি মিনিট কয়েকের জন্য সরিয়ে রাখি, তাহলে পৃথিবীর যে কোনও অভিধান নির্মাতা দল বা কোশগ্রন্থপ্রণেতামাত্রই স্বীকার করতে বাধ্য হবে যে, প্রতিটি অভিধান নির্মাণের একটি নিজস্ব নীতি আছে। সেই নীতিই বস্তুত নির্ধারণ করে দেয় যে, কী জাতীয় শব্দ বা শব্দমূলের ‘এন্ট্রি’ তালিকাবদ্ধ হবে। এককথায় শব্দের রাজনীতি বলতেই পারেন, কিন্তু সমাজভাষাবিজ্ঞানের এই ছায়াটিকে অভিধানের উপর থেকে কোনও দিনই সরিয়ে রাখা যায়নি, যাবেও না। সে যতই অভিধান নির্মাণের প্রক্রিয়াটিকে নৈর্ব্যক্তিক এবং স্বাধীন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা জারি থাক না কেন। প্রথাগত লেক্সিকোগ্রাফিতে বারবারই এরকম একটা শপথবাক্য আউড়ে কাজে ঢুকতে হয় যে, ব্যক্তিগত অভিরুচির পথ যেন শব্দের নির্বাচনে কোনওরকম কুয়াশার ছাপ না ফেলে। ‘লেক্সিকন’ বা ‘আভিধানিক উপাদান’ হিসাবে যেসব শব্দকে
বেছে নিতে হবে উপকরণ হিসাবে, তার ঐতিহাসিক বা সামাজিক তাৎপর্য যেমনই হোক না কেন, ডকুমেন্টেশনের নিরপেক্ষতা যেন সদাসর্বদা বজায় রাখা যায়।
কিন্তু বলাই বাহুল্য, মানুষী নির্বাচনের এই গোটা প্রক্রিয়ায় তো কখনওই রূপকথার মতো এমন সার্বভৌম স্বচ্ছতা নিকিয়ে তোলা যায় না! উদাহরণ হিসাবে ‘অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি’-কেই ধরা যেতে পারে সর্বাগ্রে। ১৮৮৪ সালে যখন এই অভিধানের প্রথম অংশটি প্রকাশিত হল, ‘A’ দিয়ে শুরু হওয়া যাবতীয় ‘এন্ট্রি’-র মধ্যে তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও কিন্তু পাওয়া গেল না ‘African’ শব্দটিকে, অথচ সেখানে দিব্যি জ্বলজ্বল করছে ‘American’-এর মতো শব্দ। কী বলবেন একে, নিছক ভুল? শুধুই অনবধান? না কি আরও বড় রাজনৈতিক পক্ষপাতের ষড়যন্ত্র ক্রিয়াশীল হয়ে থাকছিল অভিধানকারদের মগজে? শব্দভঁাড়ারে রক্তমাংসের মানুষের আবেগের এই ছাপের কথা চিরকাল বড় গলায় অস্বীকার করে এসেছে সবাই। প্রতিবার এই ‘WotY’ ঘোষণার মধ্যে নতুনত্ব বা অভিনবত্ব ঠিক সেখানেই। মানুষের ব্যক্তিক বা সমষ্টিগত প্রবণতা যে সত্যিই শব্দের ভঁাড়ারে ছাপ ফেলে যায়, তাকে মোটেই অস্বীকার না করে, বরং উল্টো পথে তাকেই স্বীকৃতি দেওয়ার একটা পাল্টা প্রচেষ্টা জারি থাকছে এ ধরনের নির্বাচনে। বলা যেতে পারে, সমাজভাষাবিদ্যা আর অভিধান-সংকলনবিদ্যার মধ্যে যাতায়াতের যে-পথটি এত দিন সবাই নানা তাত্ত্বিক কচকচি আর সাফাই গেয়ে ঢেকে রাখতে চাইত, সেই পথটাকেই দিনের আলোয় সর্বসমক্ষে খুঁড়ে বের করে আনল এই নয়া ট্রেন্ড।
শব্দের এই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতি যে কী ভীষণভাবে জড়িয়ে আছে, একেবারে উদাহরণ তুলে-তুলে সেই কথায় বিস্তারিত যাওয়ার আগে, একবার উল্লেখ করে নিই ২০২২ সালে ‘আমেরিকান ডায়ালেক্ট সোসাইটি’ কর্তৃক বেছে-নেওয়া শব্দটির কথা। সেটা অবশ্য আস্ত, পরিপূর্ণ কোনও শব্দই ছিল না, বরং বলা যেতে পারে শব্দের গঠনগত একটা টুকরো, ভাষাতত্ত্বর পরিভাষায় ‘মরফিম’। শব্দটা হল ‘ussy’। অপশব্দে নারীযৌনাঙ্গ বোঝাতে ‘pussy’ শব্দের ব্যবহার অনেক দিনের পুরনো। তবে, ২০০০ সাল নাগাদ LGBT অনুষঙ্গে পুংলিঙ্গের ‘বিকল্প অপশব্দ’ হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে ‘bussy’ (boy pussy) শব্দটি। আর যে কোনও বিষয়কেই একটু চ্যাংড়া ধরনের যৌনগন্ধী করে তুলতে হরদম যে কোনও শব্দের সঙ্গে ‘-ussy’ জুড়ে দেওয়ার হিড়িকটা উঠল ২০২১ থেকে, এই ট্রেন্ডকে প্রভূত জনপ্রিয় করে তুলেছিল অধুনা ব্যানড টিকটক। ছোট্ট উদাহরণ দিই। নয়া জেনারেশনের প্রিয়তম স্ন্যাকিং অপশন ডোনাট, তার ভিতরেও একখানি গর্ত থাকে বলে ‘donut’-এর সঙ্গে অচিরেই জুড়ে দেওয়া গেল এই ‘-ussy’, এবং ফিচকে হাসি আর অঁাশটে ইঙ্গিত সহযোগে শব্দটি পরিবেশিত হল ‘donutussy’ নামে।
সমাজমনস্তত্ত্ব কীভাবে এই শব্দ বাছাইয়ের অন্যতম নির্ধারক হয়ে দঁাড়ায়, সেই তুলনামূলক আলোচনার প্রসঙ্গে ২০২০ সালকে কিছুতেই সরিয়ে রাখা চলে না। অতিমারীর বছর সেটা, স্তব্ধ করে দিয়েছিল আমাদের পৃথিবীকে। সে-বছর ‘আমেরিকান ডায়ালেক্ট সোসাইটি’ সরাসরি ‘কোভিড’-কেই বেছে নিল ‘WotY’ হিসেবে। কেমব্রিজ ডিকশনারি বাছল ‘কোয়ারেন্টাইন’, ‘কলিন্স’-এর বাছাই ছিল ‘লকডাউন’, আর ‘মরিয়ম-ওয়েবস্টার’-ও নিল ‘প্যানডেমিক’ শব্দটিকে। সত্যিই, সে-বছর আমরাও তো অহরহ ব্যবহার করেছি এই শব্দগুলোকেই! কিন্তু আপনার ভুরু দুটো সত্যিই কুঁচকে যাবে, যদি তাকান অক্সফোর্ডের সেই বছরের বাছাইয়ের দিকে। কোনও অতিমারী, অসুখ, মৃত্যু, প্রতিষেধক সংক্রান্ত শব্দই নয়, তারা নির্বাচন করেছিল একেবারে ভারতীয় ভাষার একটি শব্দবন্ধ– ‘আত্মনির্ভরতা’। ওই বছর ভারত জুড়ে-চলা রাজনৈতিক বক্তৃতামালার মনের কথাটুকু ছেঁচে বের-করা এই শব্দ নির্বাচনের ব্যাখ্যা যা-ই হোক না কেন, ব্যতিক্রমী নিঃসন্দেহে। আর এ-ও ঠিক যে, ওই বছর গুগ্লে সবচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া শব্দের নিরিখে যাবতীয় পুরনো রেকর্ড দুরমুশ করে দিয়েছিল ‘প্রেয়ার’ শব্দটি। বিশ্বাস আর ভরসা হারিয়ে অতিপ্রাকৃতের উপর অন্ধ নির্ভর করতে উদ্গ্রীব মানুষকে অন্যতর পথের সন্ধান দেওয়ার কিঞ্চিৎ আভাসও কি নেই এমন শব্দের ভিতরে, প্রশ্ন উঠতে বাধ্য!
এ বছরের ‘WotY’-এর ফলও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যেই। ‘ব্রেন রট’ বেছেছে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের বাছাই ‘ম্যানিফেস্ট’, মরিয়ম-ওয়েবস্টারের তালিকায় রয়েছে ‘পোলারাইজেশন’, একটু অন্য পথে হেঁটে কলিন্স তুলে এনেছে একেবারে আনকোরা কয়েনেজ ‘ব্র্যাট’। এছাড়া ‘ডেলুলু’-র মতো সোশ্যাল মিডিয়া কঁাপানো শব্দ কিংবা মানুষী-সম্পর্কের নবতম রসায়নের ছাপ মাখা ‘সিচুয়েশনশিপ’-এর মতো শব্দ তো আছেই। অধিকাংশই নতুন কোনও শব্দ নয়, নতুন শব্দ তৈরি করার দায়ভার মাথায় নিয়ে কেউ এসব লিস্টি করেওনি। সারা বছর মানুষ ঠিক কেমন রইল, তারই একটা ঝলক শুধু ফুটিয়ে তোলা শব্দগুলোর মধ্যে। কীভাবে এসব শব্দ বছরের পরিচিতির নিয়ামক হয়ে উঠছে, কিংবা হয়ে উঠতে পারল কি না আদৌ, প্রচুর আলোচনা চোখেও পড়ছে তা নিয়ে।
আমি শুধু একটা অন্য কথা ভাবছিলাম। আমাদের বাংলা ভাষা সদ্য ‘ধ্রুপদী’ মর্যাদা পেয়েছে। ভাষার ক্ষমতায়নের নিরিখে এই শিরোপাটির মূল্য কিন্তু প্রভূত। সুদূর বিস্তৃত কালপর্ব জুড়ে স্বীকৃত ভাষাটিকে এবার যদি আমরা একটু আধুনিক কায়দায় ‘এম্পাওয়ার’ করার কথা ভাবি? ‘কম্পিউটেশনাল লিঙ্গুইস্টিকস’ দেখিয়ে দিয়েছে, ভাষার ‘এন্ট্রি’ এবং ‘ডেটা সাইজ’ বিশ্বজুড়ে যত বাড়বে, ততই বাড়বে ভাষার বাণিজ্যিক মূল্য, বাজারদর। শব্দ নির্বাচনের এই বাৎসরিক তালিকায় অন্তত একটি করে শব্দ কিংবা শব্দবন্ধও কি জোগাতে পারি না আমরা? নতুন শব্দ হোক বা না হোক, ইতিমধ্যেই বহুল পরিচিত কোনও শব্দ দিয়েও যেমন সংবৎসরের প্রবণতা চিহ্নিত করা যায়, তেমনই চিহ্নিত শব্দগুলির বাংলা পরিভাষাকেও ঠঁাই দেওয়া যায় নয়া কর্মসূচিতে। উদ্যোগ যখন একবার শুরু হয়েই গিয়েছে, মাঠে নেমে পড়ার অ্যাড্রিনালিনটুকু সদিচ্ছায় রূপান্তরিত করার চেষ্টায় দোষ কী?
(মতামত নিজস্ব)
লেখক অধ্যাপক
arundhatidasju@gmail.com