অপরাজিতা সেন: ‘সূত্র’ বলে কি আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিডিয়া ট্রায়াল (Media Trial) চলছে? প্রশ্ন তীব্রতর। অভিযোগ, বিজেপি (BJP) প্রথমেই কাউকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করে নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তাকে বা তাদের হয়রান করা হচ্ছে। এবং তার সঙ্গেই পরিকল্পিতভাবে চলছে ‘সূত্র’ শব্দের অপব্যবহারে জনমানসে চরিত্রহনন। যাতে এজেন্সির হয়রানি করতে সুবিধা হয়।
ধরা যাক, কাউকে নোটিস পাঠানো হবে। সেই ব্যক্তি নোটিসটি পাওয়ার আগেই ‘ব্রেকিং নিউজ’। ধরা যাক, কেউ উপস্থিত হলেন। জেরা চলাকালীনই বাইরে খবর চলছে, কী কী প্রশ্ন করা হচ্ছে। প্রশ্নে বিষ মাখানো। সবই অভিযোগ। অথচ উত্তর অংশটি নেই। মানুষ ভাবছেন ভয়ানক কেলেঙ্কারিতে কোণঠাসা।
[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে বোমাতঙ্ক! ৭ টি স্কুলে লুকিয়ে শক্তিশালী বোমা, ইমেলে হুমকি পেয়ে তীব্র চাঞ্চল্য]
কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা যত বাড়ছে, এই ‘সূত্র’ ব্যবহারে মিডিয়া ট্রায়াল ততটাই বেড়ে চলেছে। আগেই পরিকল্পিতভাবে খবর রটানোর ব্যবস্থা। দপ্তরে কী হচ্ছে পরের কথা, মানুষের কাছে আগে খলনায়ক বানাতে হবে। যাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) শুধু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘুরে বেড়াবে। কী আশ্চর্য, এই খেলায় অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিছু কাগজ, চ্যানেল, পোর্টাল। তদন্তে ভারসাম্যমূলক তথ্যের পরিবর্তে চাপিয়ে দেওয়া ধারণা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এজেন্সিতে বহু দক্ষ অফিসার আছেন। কিছু পরিচালনক্ষমতা তো রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে। ফলে এখন বাংলাকে টার্গেট করে এই কুৎসা ও হয়রানির খেলা চলতেই থাকছে।
ধরা যাক, কেউ এজেন্সি দপ্তরে আইন মেনে গিয়েছেন। ঠিকঠাক উত্তর দিচ্ছেন। অথচ ‘সূত্র’ উদ্ধৃত করে শুধু প্রশ্ন বা কাল্পনিক প্রশ্ন মিডিয়াতে চলছে। কী করে সম্ভব? হয় ভুল। না হলে এজেন্সিই চাইছে এসব রটুক। এই পদ্ধতিতে ভাবমূর্তি নষ্টের খেলার গতি কিন্তু ক্রমশই বাড়ানো হচ্ছে।