সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজ্ঞান অভিশাপ না আশীর্বাদ? এই আদি প্রশ্নকে ফের উসকে দিল উত্তরপ্রদেশের ১৭ বছরের এক কিশোর। যখন এআই নিয়ে গেল গেল রব উঠেছে, সেই সময় 'এআই শিক্ষিকা' বানিয়ে তাক লাগাল সে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছে সোফি! এই 'সোফি'টা আবার কে? সোফি হল রোবো শিক্ষিকার নাম।
বুলন্দশহরের বাসিন্দা মেধাবী ছাত্রটির নাম আদিত্য কুমার। শিবচরণ ইন্টার কলেজে পড়ে সে। পড়াশোনার পাশাপাশি পছন্দের বিষয় হল কম্পিউটার। সঙ্গে আবিষ্কারের নেশা। গোটা বিশ্ব যখন এআই নিয়ে মাতোয়ারা তখন আদিত্যও নেমে পড়েছিল ময়দানে। এবং চমকে দেওয়া কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে সে। কথা বলা এআই রোবোট তৈরি করেছে। আদিত্যর কথায়, এখন মুখে বলে পড়াতে পারে শীঘ্রই সমস্ত বিষয়ে লিখে লিখে পড়াতে পারবে তার এআই শিক্ষিকা।
আদিত্য জানিয়েছে, লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) চিপসেট ব্যবহার করে এআই শিক্ষিকা তৈরি করেছে সে। রীতিমতো সকলকে সম্ভাষণ জানিয়েছে যন্ত্রমানবী। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সোফি বলছে, "আমি তোমাদের এআই শিক্ষিকা। আমার নাম সোফি। আমাকে আবিষ্কার করেছে আদিত্য। এখন আমি বুলন্দশহরের শিবচরণ ইন্টার কলেজে পড়াব। ছাত্রছাত্রীরা বলো, তোমরা কোন বিষয়ে কী জানতে চাও?"
ছাত্রদের প্রশ্নের টপাটপ উত্তর দেয় সোফি। যেমন, ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর নাম জিজ্ঞেস করা মাত্র জানিয়ে দেয়। স্বভাবতই আদিত্যের কীর্তিতে গর্বিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আর সোফির স্রষ্টা কী বলছে? উচ্ছ্বসিত আদিত্যর বক্তব্য, ‘‘অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম এআই দিয়ে কিছু বানাব। শিক্ষিকাই বানালাম। অনেক বড় বড় কোম্পানি এখন রোবট তৈরি করছে। আমি পারি কি না, দেখছিলাম। আমার এই শিক্ষিকা স্কুলপড়ুয়াদের দারুণ কাজে আসবে। এখন ও শুধু বলতে পারে। যাতে ও লিখতেও পারে, সেই বিষয়টা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করছি।’’ ছাত্রদের পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য প্রত্যেক স্কুলে এআই গবেষণাগার থাকা উচিত বলে দাবি আদিত্যর।
