সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজ্যে চালু হল কড়া কোভিড (COVID-19) বিধি । সোমবার থেকেই একাধিক বিষয়ে বাড়়ছে কড়াকড়ি। সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। লন্ডন থেকে কোনও বিমান নামবে না কলকাতা বিমানবন্দরে। বাড়ছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধের (Night Curfew) সময়সীমা। রবিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে নির্দেশিকা জানালেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
ওমিক্রন রুখতে কী কী বিধিনিষেধ জারি হল রাজ্যে, দেখে নিন একঝলকে –
- ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে বিমান অবতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ
- মুম্বই, দিল্লি থেকে কলকাতায় বিমান নামবে সপ্তাহে ২ দিন–সোমবার ও শুক্রবার
- ১০ শতাংশ আরটি-পিসিআর (RT-PCR) বাধ্যতামূলক
- ১০০ শতাংশ বিদেশফেরতের Rapid Antigen টেস্ট করাতে হবে
- ‘দুয়ারে সরকার’ একমাস পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু
- স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, ৫০ শতাংশ কর্মীরা আসতে পারেন
- সরকারি ও বেসরকারি অফিসে (কর্পোরেশন-সহ) ৫০ শতাংশ হাজিরা
- সোমবার থেকে বন্ধ সুইমিং পুল, পার্লার, জিম, স্পা, পার্ক, চিড়িয়াখানা
- শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্সে ৫০ শতাংশ ক্রেতার প্রবেশের অনুমতি
- রেস্তরাঁ, বারে ৫০ শতাংশের প্রবেশ
- সিনেমা হল, থিয়েটারে ৫০ শতাংশ দর্শকের প্রবেশ
- বাড়ল রাত্রিকালীন বিধিনিষেধের সময়সীমা। রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ জারি
- লোকাল ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে যাতায়াত চলবে। তবে সন্ধে ৭টার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ, মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে
- গণপরিবহণে স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক
- বাজার স্যানিটাইজ করা হবে
- কলকাতায় ১১টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন
- মিটিং, কনফারেন্সে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি
- সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি
- মাস্ক না পরলে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন
করোনার নয়া স্ট্রেন কিছুটা থাবা বসিয়েছে বঙ্গেও। ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়ছে। তাই সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পৃথকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রিসমাস ও ইংরাজি নববর্ষে কোভিডবিধিতে খানিকটা ছাড় থাকায় পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক হয়েছে। এই অবস্থায় ওমিক্রনের দাপট রুখতে আপাতত দু’সপ্তাহের কড়া কোভিডবিধি জারি করল রাজ্য সরকার। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। এরই মধ্যে আগামী ২২ তারিখ রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট। তার ভবিষ্যৎ কী হবে, সে নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি নবান্ন। এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরই।