স্টাফ রিপোর্টার: কোথাও জোড়া ১৩ টাকা, কোথাও আবার ১৪ টাকা। ট্রে-তে একসঙ্গে ৩০টা কিনলেও খুব একটা দাম কম পড়ছে না। মুরগির মাংসের পর এবার বাড়ল ডিমের দামও। এক ট্রে ডিম মাসখানেক আগেও যেখানে দাম ছিল ১৩০-১৪০ টাকা, সেই দামই এখন ২০০ টাকা ছুঁইছুঁই বাজারে। খুচরো নিলে দাম আরও বেশি।
ডিমের চড়া দাম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে দোকানদাররা জানাচ্ছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণেই খুচরো বাজারে বেড়েছে। গত এক মাসে এক জোড়া ডিমের দাম গড়ে তিন টাকা করে বেড়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বলেন, “মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। তাই স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই দাম বেড়েছে ডিম এবং মাংসের। না হলে চাষিরা লাভ পাবেন না।”
[আরও পড়ুন: বিজেপি মহিলা মোর্চায় কাজিয়া! রাজ্য সভানেত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হেনস্তার অভিযোগ সাধারণ সম্পাদিকার]
মুরগির মূল খাবার ভাঙা চাল, ভুট্টা বিদেশে রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে। ফলে তার প্রভাব পড়ছে মাংস, ডিমে। তাছাড়া গরমে অনেক মুরগি মরেও যাচ্ছে। এই সব কারণেই ডিমের দাম বাড়ছে। চলতি মাসে দাম কমার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শ্রাবণ মাসে কমতে পারে। কারণ ওই মাসে বহু মানুষ নিরামিষ খান, যে কারণে ডিম, মাংসের চাহিদা থাকে কম। মুরগির মাংসের দাম অনেকদিন আড়াইশোর গণ্ডি পার করেছিল। মাঝে কমেছিল কিছুটা। এখন আবার ২৩০ টাকা প্রতি কেজি। তবু ডিমের দামটা গরিবের সাধ্যের মধ্যেই ছিল। পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ টাকাতেই মিলছিল। ট্রে কিনলে দাম সাড়ে চার টাকাও হয়েছিল কোথাও কোথাও। কিন্তু সেই দামও বাড়ছে হু হু করে।
খামার থেকে প্রতি পিস ডিম বিকোচ্ছে ৫ টাকা ৪০ থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায়। পোলট্রি ব্যবসায় যুক্তরা জানাচ্ছেন, মুরগির খাবার ভাঙা চালের দাম করোনাকালের আগে ছিল ১২ টাকা, আর এখন ২৪ টাকা প্রতি কেজি। ভুট্টা ১৩ টাকার বদলে দাম হয়েছে ১৯ টাকা। সেই সঙ্গে মুরগি, ডিম আনা-নেওয়ার খরচও বেড়েছে। কিন্তু দাম তো গত এক মাসে বাড়ল ডিমের?
ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতিদিন তিন কোটি ডিম লাগে। তার মধ্যে ২ কোটি ২০ লক্ষ রাজ্যেই উৎপাদন হয়। বাকি ৮০ লক্ষ আসে অন্ধ্র থেকে। একটি মুরগিকে ছোট থেকে ডিম পাড়ার উপযুক্ত করতে আড়াইশো থেকে তিনশো টাকা খরচ পড়ে। ছ’মাসের পর থেকে টানা এক বছর ডিম দেয় মুরগি। একটি ডিম উৎপাদনে চার টাকা মতো। পাইকারি বাজারে যা বিক্রি হয় সাড়ে চার থেকে পাঁচ টাকার আশেপাশে।