সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুনের অপরাধীকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। সেই সাজা কার্যকর করার সময় গোটা ঘটনার লাইভ টেলিকাস্ট করতে চেয়ে সংসদে আবেদন জানাল আদালত। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, অপরাধ করলে ঠিক কতখানি ভয়ানক সাজা পেতে হবে, সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্যই এমন প্রস্তাব। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ইরানে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল গোটা বিশ্ব। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সামনে এল এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মিশরে (Egypt)। সেখানে মহম্মদ আদেল নামে এক যুবক তার সহপাঠীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি নায়রা আশরাফ নামে ওই সহপাঠী। প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই সহপাঠীকে খুন করে আদেল। ঘটনাটির ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। গোটা বিচার প্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশের মানুষ। প্রসঙ্গত, মিশরের বিচারব্যবস্থায় লিঙ্গবৈষম্যের অভাব রয়েছে, এমনটা দাবি করা হয় বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থার তরফে। তাই নায়রা সঠিক বিচার পান কিনা, সেদিকে লক্ষ্য রেখেছিল ইজরায়েলবাসী।
[আরও পড়ুন: এবার বন্দুকবাজের হামলা চিনে, তিনজনকে খুন করে পলাতক পুলিশকর্মী]
৮ জুন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ২১ বছর বয়সী আদেলকে। তারপরেই মানসৌরা আদালতের তরফে সংসদের কাছে আবেদন করে বলা হয়, আদেলকে ফাঁসি দেওয়ার সময়ে গোটা ঘটনার লাইভ টেলিকাস্ট করা হোক। ভবিষ্যতে কেউ যেন এরকম কাজ না করে, সেই বিষয়ে সকলকে সচেতন করতেই এহেন পদক্ষেপ করা দরকার। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, “গোটা ঘটনা যদি নাও বা দেখানো হয়, অন্তত কার্যক্রম শুরুর কিছুটা অংশ দেখাতে হবে। আদেলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘোষণাও লাইভ (Live Telecast) দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়নি।”
তবে মিশরে ফাঁসির (Execution) সাজা লাইভ টেলিকাস্ট করে দেখানো নতুন কোনও ব্যাপার নয়। এর আগে ১৯৯৮ সালে তিনজনকে একসঙ্গে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার লাইভ টেলিকাস্ট করা হয়েছিল গোটা দেশে। জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে মিশরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার হার বেশ বেড়ে গিয়েছে। তবে আদেলের আইনজীবীদের মতে, মৃত্যুদণ্ড রদ করার জন্য আবেদন করা হবে।