গুয়াহাটি: কাগজে কলমে বর্ষা আসতে এখনও দেরি আছে। তার আগেই গত কয়েক দিনের বন্যায় ভাসছে অসমের (Assam) বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বানভাসি রাজ্যে গৃহহীন অন্তত চার লক্ষ মানুষ। সরকারি হিসাবে ইতিমধ্যে প্রাণ গিয়েছে আটজনের।
গত কয়েকদিন ধরেই প্রবল বর্ষণে প্লাবিত অসমের (Assam Flood) ২৬টি জেলার ১৫০০-র বেশি গ্রাম। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বন্যা দুর্গতের সংখ্যা পাঁচ লক্ষের বেশি। সাধারণ নিয়মেই বছরের এই সময়টায় বিভিন্ন বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা চলে। কিন্তু দুর্যোগের জেরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ইতিমধ্যেই পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অসম উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পঙ্কজ বরঠাকুর জানান, ২১ মে পর্যন্ত নির্ধারিত পরীক্ষাগুলি স্থগিত রাখা হয়েছে৷ বৃষ্টি ছাড়াও ধস নেমেছে বিভিন্ন জায়গায়। ধসে বিচ্ছিন্ন ডিমা হাসাও জেলায় পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে আগামী ১ জুন পর্যন্ত৷
[আরও পড়ুন: বেধড়ক মারধরের পর গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূকে ‘খুন’, আটক মৃতার স্বামী ও শাশুড়ি]
মঙ্গলবারই কার্বি আংলং জেলায় স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি খালি ট্রেন কাদাজলের স্রোতে ভেসে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়। তাতে বড় কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতার স্পষ্ট চিত্র ধরা পড়েছে। বুধবার রাজ্য আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে এখনও তিন দিন চলবে বৃষ্টি। ফলে ব্যাহত হতে চলেছে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যেই নেমেছে সেনা। হোজাই জেলায় আটকে থাকা দু’হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছে সেনা।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী উদ্ধার কাজ চলছে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের জল আরও বাড়তে পারে। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডিমা হাসাও জেলা। অসমের রাজস্ব মন্ত্রী যোগেন মোহন বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে প্রবলভাবে। ফলে ত্রাণ পৌঁছনো কঠিন হয়ে পড়ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।