সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে ভারতে (India) পা রাখলেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। EU’র ‘গ্রিন পাস’র তালিকায় কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনকে ঠাঁই না দেওয়ার পালটা হিসেবে তাদের উপর এই মর্মে চাপ তৈরি করেছিল ভারত। বৃহস্পতিবার থেকেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম লাগু হয়ে যাওয়ার ঘোষণাও হয়েছিল ভারতের তরফে। করোনা টিকা ইস্যুতে ভারতের সেই চাপের কাছে নতিস্বীকার করল EU। জানানো হয়েছে, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস-সহ ইউরোপের মোট ৮টি দেশ কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দিচ্ছে। এবার থেকে কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট সঙ্গে থাকলে এই সাত দেশে প্রবেশে কোনও বাধা নেই ভারতীয় পড়ুয়া কিংবা কর্মরতদের। একে বড় সাফল্য বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা টিকা (Corona vaccine) কোভিশিল্ডকে গ্রিন পাস দেওয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন জানিয়েছে – জার্মানি, অস্ট্রিয়া, গ্রিস, স্পেন, সুইজারল্যান্ড আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্লোভেনিয়া। জার্মান দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুমোদিত ভ্যাকসিনের সমতুল্য টিকাকে গ্রহণের পক্ষে জার্মানি। সুরক্ষার জন্যই এত কড়াকড়ি।
এই বিবৃতিতেই স্পষ্ট, কোভিশিল্ডকে ইউরোপের (Europe) অন্যান্য দেশের সমতুল্য বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এই খবরে অনেকটাই স্বস্তিতে কোভিশিল্ড গ্রাহকরা। EU’র ডিজিটাল ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে কোভিশিল্ডের নাম ওঠায়, সেই নথি সঙ্গে নিয়েই তাঁরা ইউরোপের ওই আট দেশে যেতে পারবেন – বেড়াতে অথবা কাজের প্রয়োজনে।
[আরও পড়ুন: ‘হোয়াইট হাউসে থাকার তেমন কোনও বড় সুবিধা নেই’, মন্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের]
সূত্রের খবর, আরেক দেশ ইস্টোনিয়া জানিয়েছে, ভারত থেকে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আসা ব্যক্তিদের তাদের দেশে প্রবেশে কোনও বাধা নেইছ। এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও বাকি। কোভিশিল্ডে ছাড়পত্র মিললেও, কোভ্যাক্সিন যেহেতু এখনও WHO’র অনুমোদনের অপেক্ষায়, তাই তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত এই দেশগুলি। যদিও সূত্রের খবর, EU’র বেশিরভাগ সদস্য দেশ মনে করে, WHO অথবা যে কোনও দেশে ছাড়পত্র পাওয়া ভ্যাকসিনকে এই তালিকায় রাখা উচিত। সেই টিকাগ্রহীতাদের প্রবেশে অনুমোদনের পক্ষেই অধিকাংশ দেশ। এখন কোভ্যাক্সিনের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন মহল।