সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এল নিনোর প্রভাব খর্ব করে এবছর সঠিক সময়েই আসছে বর্ষা। মঙ্গলবার আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এবছর স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও জানিয়েছেন সময়ে ও যথেষ্ট পরিমাণে বর্ষা হওয়ায় এবছর খাদ্য শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও অর্থনীতি মজবুত হবে। এবছর জুন মাস থেকেই পর্যাপ্ত বৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[ প্রধানমন্ত্রী এসে বারণ করলেও গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করব: বরকতি ]
এপ্রিলের ১৮ তারিখ এক বিবৃতিতে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত ৫০ বছরে বৃষ্টিপাতের গড় ছিল ৮৯ শতাংশ। কিন্তু এবছর স্বাভাবিকের থেকে বেশি ৯৬ শতাংশ বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে হওয়া অফিসের ডিরেক্টর জেনারেল কে জে রমেশ জানিয়েছেন, “এবছর সুখবর নিয়ে আসছে। সাধারণের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষিকার্যে সুবিধা হবে।” উল্লেখ্য, ভারত একটি কৃষি প্রধান দেশ। এখনও দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কৃষিজীবী। কিন্তু ৫০ শতাংশ চাষের জমিতে নেই সেচ ব্যবস্থা। জমিতে চাষ করার জন্য এখনও কৃষকদের বর্ষার উপর নির্ভর করতে হয়। ইতিমধ্যে দেশের দক্ষিণে কিছুটা বৃষ্টিপাত হওয়ায় খুশির হওয়া চাষীদের মধ্যে।
[‘ইতিহাস সংরক্ষণ করতে না পারলে, দেশরক্ষাও হয় না’]
উল্লেখ্য, আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার জন্য এতদিন ব্রিটিশ জমানার ১৯২০ সালের পদ্ধতি ব্যবহার করত হওয়া অফিস। সম্প্রতি আমেরিকার অত্যাধুনিক কম্পিউটার ও সেন্সরের উপর ভিত্তি করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস। বর্ষার সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারলে ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশের উৎপাদন প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে তোলা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্ষার সঠিক পরিমাণ ও সময় জানতে পারলে চাষের সঠিক উপাদান জানানো যেতে পারে। দেশে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য চাষের উপর নির্ভর করেন।
[অবসাদ ঘোচাতে যোগই ভরসা উপত্যকার জওয়ানদের]
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানিয়েছে, ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ও ঋণের দায়ে প্রত্যেক বছর ১২,০০০ চাষি আত্মহত্যা করেন। যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে চাষিদের ঋণ মকুব করে ও নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে তবুও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষিদের আত্মহত্যার ঘটনা।