সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধার পচাগলা দেহ। অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত ছেলে খুন করে মায়ের দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রেখেছিল। বুধবার সকাল থেকে সেপটিক ট্যাংকের দুর্গন্ধে টিকতে না পেরে পুলিশের কাছে খবর যায়। তাঁরা এসে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার কাকদ্বীপ (Kakdwip) মহকুমার হারউডপয়েন্ট কোস্টাল থানার কৈলাশনগর এলাকার বাসিন্দা গীতা পট্টনায়েক (৬০)। রবিবার অর্থাৎ জামাইষষ্ঠীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা খোঁজ করেও হদিশ পাননি। এদিন সকালে সেই নিখোঁজ রহস্যের সমাধান হল। খুনের অভিযোগ উঠেছে বৃদ্ধার ছোট ছেলে রূপক পট্টনায়েকের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: পিছল অনলাইনে উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের সময়, কখন রেজাল্ট জানতে পারবে পড়ুয়ারা?]
স্থানীয় বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাসের অভিযোগ, ছোট ছেলে প্রায়শই মাকে মারধর করত। নেশার টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলত। সেই রূপকই মাকে মেরে তিনদিন ধরে সেপটিক ট্যাংকে ঢুকিয়ে রেখে দিয়েছিল বলে দাবি। প্রতিবেশীদের দাবি, দেহ লোপাট করে ঘর ও আশপাশের রক্তের দাগ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু কথায় আছে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। এদিন সকাল থেকে দুর্গন্ধে টিকতে পারছিল না প্রতিবেশীরা। তাঁরাই ফোন করে পুলিশে খবর দেন।
এদিন সকালে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। শুরু হয়েছে তদন্তও। নিছক দুর্ঘটনা নাকি মাকে খুন করেছে ছেলেই, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার পর থকে পলাতক বৃদ্ধার ছেলে। তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।