সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ায় (Russia) শুরু ‘গণতন্ত্রের উৎসব’। শুক্রবার থেকে আগামী তিনদিন ধরে নির্বাচন চলবে সেদেশে। ভোট হবে ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকাগুলোতেও। তবে নির্বাচনের আগেই কার্যত নিশ্চিত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) জয়। এই নির্বাচনে জিতলে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত নিজের কুরসি ধরে রাখবেন পুতিন।
নির্বাচন শুরুর আগেই দেশের অধিকাংশ বিরোধী নেতাকে জেলে ভরে দিয়েছিল রুশ প্রশাসন। মাত্র তিনজন প্রার্থীকে নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দিয়েছে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন পুতিন। যদিও তাঁর দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্টকে পূর্ণ সমর্থন দেবে তাঁরা। এছাড়াও নির্বাচনে লড়ছেন লেনয়েড স্লাটস্কি ও ভ্লাদিস্লাভ দাভানকোভ। দুজনের কেউই পুতিন বিরোধী মন্তব্য করেননি কখনও। এমনকি ইউক্রেনে রুশ সেনা অভিযানেরও বিরোধিতা করেননি তাঁরা। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই নির্বাচনে পুতিনের জয় নিশ্চিত।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে মুখ্যমন্ত্রী? তদন্তে লালবাজার, কালীঘাটে বাড়ল নিরাপত্তা]
পুতিনের প্রধান প্রতিপক্ষ জেলবন্দি অ্যালেক্সেই নাভালনিকে আগেই নির্বাচনী লড়াই থেকে সরিয়ে দিয়েছিল রুশ প্রশাসন। পরে জেল হেফাজতেই নাভালনির মৃত্যু হয়। নাভালনির পরে বিরোধী মুখ হিসাবে উঠে আসে দুজনের নাম। তার মধ্যে একাতেরিনা দুনোৎসভা মনোনয়ন দিলেও তাঁর নথিপত্র ত্রুটির অভিযোগ দেখিয়ে তা খারিজ করে দেয় নির্বাচনী কমিশন। অপর জন বরিস নাদেঝিন নির্বাচনে লড়তে চেয়ে ১ লক্ষ সই সংগ্রহ করেন। কিন্তু তার মধ্যে ৯৫ হাজার সইকে বৈধতা দিয়েছে কমিশন। ফলে দুজনের কেউই নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ভোটপ্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে নাভালনির মৃত্যুর ঘটনা। এনিয়ে কি চিন্তিত পুতিন? রুশ সংবাদ সংস্থা তাস সূত্রে খবর, ভিডিও বার্তায় রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সকলে যেন নির্বাচনে অংশ নেন। সকলে মিলে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে আমাদের। প্রত্যেকটা ভোট আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে আমি চাই আপনারা এই ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন।” তবে নাভালনির মৃত্যুর প্রভাব উড়িয়ে নিজের জয় পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত পুতিন।