স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটকর্মী এবং ভোটদাতাদের সুরক্ষার স্বার্থে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে হিংসাত্মক ঘটনায় গুরুতর জখম বা গুরুতর অসুস্থদের সুচিকিৎসার জন্য উপযুক্ত জায়গায় দ্রুত স্থানান্তরের লক্ষ্যে মোতায়েন রাখা হবে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। স্বাধীন ভারতের এযাবৎকালের নির্বাচনী ইতিহাসে এমন বন্দোবস্ত এই প্রথম। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেওয়ার জন্য কমিশনের তরফে সব রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি এসেছে নবান্নতেও।
উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগর মেলার সময় প্রতি বছর এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নেয় রাজ্য সরকার। কোনও পুণ্যার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে উড়িয়ে আনা হয় শহরের হাসপাতালে। এবারও সাগর মেলায় অসুস্থ্ সাতজনকে কলকাতার হাসপাতালে উড়িয়ে আনা হয়েছে। এবার লোকসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনও প্রত্যেক রাজ্যে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করতে চলেছে। উদ্দেশ্য একটাই, নির্বাচনের দিন বা তার আগে পড়ে প্রত্যন্ত এলাকার অশান্তিতে যদি কেউ গুরুতর জখম হন, প্রাণ সংশয় থাকে বা ভোটের দিন কেউ অসুস্থ হন, তবে ওই ব্যক্তিকে সেখান থেকে শহরে উড়িয়ে আনা হবে চিকিৎসার জন্য। নির্বাচনে হতাহতের সংখ্যা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। গোটা দেশে প্রত্যেক রাজ্যেই ভোটের জন্য এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স নেওয়া হচ্ছে। এবারই প্রথম এমন সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: নাভালনির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প, তবে পুতিনের বদলে দুষলেন বাইডেনকে, কেন?]
নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের বিষয়টি জানানো হয়েছে। যেহেতু পরিবহণ দপ্তরের তরফে তা ভাড়া নেওয়া হয়, তাই নবান্নের তরফে পরিবহণ দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়। নবান্নের এক কর্তার কথায়, রাজ্যের একটা হেলিকপ্টার রয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের পরিকাঠামো অনেকটাই আলাদা। এখানে রোগীর স্ট্রেচার থেকে শুরু করে চিকিৎসক বসার জায়গা সমস্তকিছুই থাকে। যা এক বেসরকারি সংস্থার থেকে সাগরমেলায় ভাড়া নেয় পরিবহণ দপ্তর। তবে ভোটের সময় তা নির্বাচন কমিশনই ভাড়া নেবে। প্রতি নির্বাচনেই ভোট সংঘর্ষে বহু ব্যক্তি প্রাণ হারান। প্রত্যন্ত এলাকায় কোনও ঘটনায় জখম ব্যক্তিকে শহরের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনার আগে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনা সব রাজ্যেই ঘটে। তা এড়ানোই এবার মূল লক্ষ্য কমিশনের। তাই এবার ভোটে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স মজুত রাখছে নির্বাচন কমিশন। যে কোনও সংঘর্ষে জখম বা অসুস্থ ব্যক্তিকে প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য তা ব্যবহার করা হবে।