স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে তৃতীয় দফায় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও মালদহের চার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার। যার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের চিন্তা বাড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদ। সেই চ্যালেঞ্জ সামলে শান্তিতে ভোট করাতে বৃহস্পতিবার দুই জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব।
এই মুহূর্তে রাজ্যে ৪০৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তৃতীয় দফা নির্বাচনে এর মধ্যে ৩৫০ কোম্পানি বাহিনীকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিযুক্ত করা হচ্ছে। মালদহে মোতায়েন থাকছে ১৪২ কোম্পানি বাহিনী। মুর্শিদাবাদে মোতায়েন থাকবে ১১৪ কোম্পানি বাহিনী। যদিও পরিস্থিতি বিচার করে মুর্শিদাবাদে বাহিনী মোতায়েনের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর। বাকি বাহিনীর একটা বড় অংশ কুইক রেসপন্স টিমের সদস্য হিসাবে থাকবে। অতিরিক্ত বাহিনীকে এরিয়া ডমিনেশন ও স্ট্রং রুম পাহারায় কাজে লাগানো হবে। কমিশন জানিয়েছে, এই পর্বে প্রতিটি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, হেয়ার স্ট্রিট থানায় নির্যাতিতা]
মুর্শিদাবাদ নিয়ে কমিশনের চিন্তার কারণ এই জেলায় অতীতের নির্বাচনী ইতিহাস। গত বেশ কয়েকটি ভোটে মুর্শিদাবাদে প্রবল অশান্তি হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে বহু প্রাণহানি দেখেছে এই জেলা। শুধু ভোটের দিনই অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় জেলার শক্তিপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। যার জেরে শক্তিপুর ও বেলডাঙা থানার ওসিকে সরিয়ে দেয় কমিশন। তার আগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজিকেও। এর পরও জেলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানো বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে কমিশন।
সন্ত্রাসদীর্ণ মুর্শিদাবাদ ও মালদহের পর কমিশনের সামনে আরও কঠিন পরীক্ষা ১৩ মে-র চতুর্থ দফায়। যে পর্বে আট কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে বহরমপুর, বীরভূম, আসানসোলের মতো নাম। এই দফার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ৭৫০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল কমিশন। পাওয়া গিয়েছে ৫৯৬ কোম্পানি বাহিনী। কমিশন সূত্রে খবর, বাড়তি ১৯০ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে পা রাখতে চলেছে ১৩ মে-র আগেই। এর মধ্যে চতুর্থ দফায় ৫৭৮ কোম্পানি বাহিনী আটটি কেন্দ্রে ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হবে। তবে বাহিনী বাড়লেও কুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা বাড়েনি। এখনও পর্যন্ত ১৪৮ কিউআরটি বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে কমিশন। ভবিষ্যতে এই সংখ্যাটা বাড়ানো হবে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: জীবনে কোনওদিন দ্বিতীয় হয়নি, মাধ্যমিকে কোন স্থানে হুগলির ‘বিস্ময় বালক’ তপজ্যোতি?]
উল্লেখ্য, ভোট শুরুর আগেই বাংলায় নজিরবিহীন ৯২০ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিল কমিশন। প্রথম পর্বে পাঠানো হয় ২৬৩ কোম্পানি বাহিনী। দ্বিতীয় দফায় বাহিনীর সংখ্যা ৩৩৪ কোম্পানিতে দাঁড়ায়। ৭ মে তৃতীয় দফায় আরও প্রায় ৭৫ কোম্পানি বাহিনী আসায় মোট বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০৬ কোম্পানিতে।