শুভঙ্কর বসু: ১৮ ফেব্রুয়ারির আগে সম্ভবত হচ্ছে না রাজ্যের ভোট ঘোষণা। কমিশন (Election Commission) সূত্রের খবর, ১৮ তারিখ সন্ধেবেলা বা তার পরে যে কোনও দিন বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে। বাংলা এবং অসমের ভোটের জন্য সবরকম প্রস্তুতি সারা হয়ে গেলেও, দক্ষিণের দুই রাজ্যে এখনও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পারেনি কমিশন। সেজন্যই ভোট ঘোষণার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই বাংলা এবং অসমে ঘুরে ভোটপ্রস্তুতি খতিয়ে দেখে গিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এই দুই রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, প্রশাসনিক কর্তা এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা। কোভিডের (COVID-19) জন্য নিযুক্ত নোডাল অফিসার অর্থাৎ রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গেও কথা হয়েছে নির্বাচন কমিশনারদের। রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে গিয়ে ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে দিল্লিতে পর্যালোচনা বৈঠকও সেরে ফেলেছে কমিশন। এক কথায়, উত্তরপূর্বের দুই রাজ্যের নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতিই মোটামুটি সারা। কিন্তু দক্ষিণের দুই রাজ্যের ক্ষেত্রে এমনটা বলা যাচ্ছে না। এখনও কেরল (Kerala) বা তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) কোনও রাজ্যেই ভোট প্রস্তুতি পুরোপুরি খতিয়ে দেখতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। অথচ, ৫ রাজ্যে একসঙ্গে ভোট ঘোষণা হওয়াটাই দস্তুর। তাই দক্ষিণের দুই রাজ্যের ভোটপ্রস্তুতি খতিয়ে না দেখে বাংলা বা অসমের ভোট ঘোষণা সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতার দম্ভ পেয়ে বসছে’, কৃষি আন্দোলন নিয়ে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলল আরএসএস!]
কমিশনের ফুল বেঞ্চ আগামী ১১ ও ১২ তারিখ যাচ্ছে তামিলনাড়ু, ১৩ এবং ১৪ তারিখ তাঁরা যাবেন কেরলে। ১৫ তারিখ দিল্লি ফিরে এই দুই রাজ্যের ভোট প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবে কমিশন। যা হতে পারে ১৬ ফেব্রুয়ারি। সূত্রের খবর, এই পর্যালোচনা বৈঠকের পর হাতে এক-দু’দিন রাখতে চায় কমিশন। তারপরই ঘোষণা করা হতে পারে নির্বাচনের দিন তারিখ। সেক্ষেত্রে ১৮ ফেব্রুয়ারি বা তার পর যে কোনও দিন ভোট ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মসূচিতে রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন তিনি। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে যা সম্ভব হবে না। সেকারণেই নির্বাচন ঘোষণায় কমিশনের এই ঢিলেমি।