কৃষ্ণকুমার দাস: এবার ৮০ ঊর্ধ্ব প্রবীণ ভোটারদের সন্ধানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলাপচারিতা শেষে তালিকা তৈরি করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের তালিকাও খুঁটিনাটি তথ্য-সহ প্রস্তুতির কাজ শুরু করলেন কমিশনের কর্মীরা। মূলত, ৮০ পেরিয়ে আসা ও বিশেষভাবে সক্ষম ভোটাররা যাতে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যেই এই সমীক্ষা শুরু হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, ১০০ বছর বয়স হওয়া ভোটারদের চিহ্নিত করে তাঁকে সার্টিফিকেট দিয়েও বিশেষ সম্মান জানাবে কমিশন। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রে এমনই ১০০ বছর পার হওয়া ৬ জন ভোটারকে চলতি বছরের শুরুতে শংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক শনিবার জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা ভোটেও শতায়ু ভোটাররা যাতে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তার জন্য তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর সংগ্রহ করছে কমিশন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীর উপর ‘হামলা’ বিজেপির, তমলুকে ব্যাপক উত্তেজনা]
কমিশন নিযুক্ত কর্মীরা ২১ জুলাই, শুক্রবার থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ‘ডোর টু ডোর’ সমীক্ষায় এই তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করেছেন। আগামী ৩০ জুলাইয়ের পর থেকেই প্রতি শনি ও রবিবার, ২০ আগস্ট পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ভোটারের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নাম তোলা, বাদ দেওয়া ও সংশোধনের জন্য ফর্ম জমা নিতে ‘বিএলও’রা বসবেন। সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই নির্বাচন কমিশনের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) যে দিনগুলিতে বসবেন সেগুলি হল: ৩০/০৭, ০৫/০৮, ০৬/০৮, ১২/০৮, ১৩/০৮, ১৯/০৮, ২০/০৮।
সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে সরেজমিনে সমীক্ষা চালাবেন এই বিএলও’রা। তবে এবারের ভোটার লিস্ট প্রস্তুতির সমীক্ষায় ৮০ ঊর্ধ্ব ভোটারদের চিহ্নিতকরণে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ, আগের লোকসভা ভোটের তুলনায় এখন তালিকায় প্রবীণ ভোটারের সংখ্যা বাড়ছে। আবার ভোট দিতে না আসা ভোটারের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন কমিশন। তালিকায় নাম আছে কিন্তু পর পর বেশ কয়েকটি নির্বাচনে বুথে ভোট দিতে আসেননি এমন ভোটারের তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘বাড়ি বাড়ি বিএলও-দের পৌঁছে ভোট দিতে না আসা ভোটারদের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে। বিদেশ চলে যাওয়া বা মৃত ভোটারের ডেথ সার্টিফিকেটও পরিবারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।’’ যাঁরা বিদেশ বা অন্যত্র চলে গিয়েছেন কিন্তু কমিশনকে এতদিন তথ্য জমা দেয়নি এবার তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হবে। অবশ্য যদি বার্ধক্যজনিত কারণে প্রবীণ ভোটাররা বুথে না আসেন তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা যাতে পোস্টাল ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তাঁর ব্যবস্থাও করবে নির্বাচন কমিশন।