স্টাফ রিপোর্টার : দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে দুর্নীতির অভিযোগে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ চিন্তা বাড়াল নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) । রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের চিন্তা, পর্যাপ্ত সংখ্যক ভোটকর্মী মেলা নিয়ে। যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, ভোটকর্মী নিয়োগের সময় প্রতিবারই প্রয়োজনীয় সংখ্যার তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মীকে নিয়োগ করে ‘রিজার্ভ’ হিসাবে রাখা হয়। কেউ অনুপস্থিত থাকলে বা অন্য জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁদের বুথে পাঠানো হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সেই রিজার্ভে থাকা কর্মীদের দিয়েই সমস্যার সমাধান করা হবে।
রাজ্য শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, এদিন যে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের মধ্যে শিক্ষক প্রায় ১৯ হাজারের কাছাকাছি। গ্রুপ সি ও ডি পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন সাড়ে ছ’হাজারের কাছাকাছি। এদের মধ্যে কতজনের ভোটের ডিউটি পড়েছিল, সেই পরিসংখ্যান এখনও কমিশনের হাতে নেই। এঁদের অনেকেরই এবারের নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কমিশন সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশে এই ব্যক্তিরা সরকারি কর্মীর মর্যাদা হারানোয় ভোটের ডিউটি করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে সেই শূন্যস্থান পূরণ করা নিয়েই প্রকৃত পরিস্থিতি কী জানাতে জেলায় জেলায় নির্দেশ গিয়েছে কমিশনের।
[আরও পড়ুন: কত টাকায় লড়েছিলেন জীবনের প্রথম মামলা? গোপন তথ্য ফাঁস প্রধান বিচারপতির]
আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ হবে রাজ্যের তিন কেন্দ্রে। এই পর্বে মোট বুথের সংখ্যা ৫২৯৮। বৃহস্পতিবার থেকেই ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে বুথের উদ্দেশে রওয়া দেবেন ভোটকর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই হাতে সময় ৪৮ ঘণ্টা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট যদি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিলে এ সংক্রান্ত যাবতীয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হবে কমিশন। কিন্তু বুধবারের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি না হলে বা স্থগিতাদেশ না পেলে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।
এদিন এ প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডিশনাল সিইও অরিন্দম নিয়োগী জানান, ‘‘আমাদের ভোটকর্মীদের বেশ কিছুটা অংশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা আছেন ঠিকই! কিন্তু ভোট কর্মীদের ২০-২৫% রিজার্ভে থাকেন। ফলে তা দিয়ে আমরা ভোট করাতে পারব।’’ তিনি জানান, ‘‘রিজার্ভ হিসাবে থাকা ভোটকর্মীদের ডিসি অফিসে রিপোর্ট করার কথা জানিয়ে চিঠি চলে গিয়েছে। তাঁরা ডিসি অফিসে চলে যাবেন। ভোটের ডিউটি বণ্টনের দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের রিজার্ভ ভোট কর্মী দিয়ে রিপ্লেস করা হবে।’’
[আরও পড়ুন: সারছে যুদ্ধের ক্ষত? শেয়ার বাজারে সবুজ সংকেত, ফের ৭৪ হাজারের গণ্ডি পার সেনসেক্সের]
এদিকে শুক্রবার তিন কেন্দ্রের যে ৫২৯৮টি বুথে ভোট নেওয়া হবে, তার মধ্যে স্পর্ষকাতর বুথের সংখ্যা ১১৩৪। কমিশন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ের আগে রাজে্য ৩০৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত থাকছে। তার মধ্যে ২৭৭ কোম্পানি বাহিনীকে ভোটে নিযুক্ত করা হবে। আগামী ৭ মে তৃতীয় দফার ভোটের আগে আরও ১০৩ কোম্পানি বাহিনী চলে আসার কথা।