সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: এখন দম ফেলার ফুরসত নেই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার। আর চলতি মাসেই যে মেঘালয়ে বিধানসভা ভোট! বিজেপি হারিয়ে উত্তর-পূর্ব এই ছোট রাজ্যে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় ফেরাতে চেষ্টায় কসুর করছেন না তিনি। আর এই ভোট-যুদ্ধে মুকুলকে সর্বতোভাবে সাহায্য করছেন তাঁর পরিবারের লোকেরাও। কংগ্রেসে টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী, ভাই, এমনকী ভাইয়ের স্ত্রীও! পিছিয়ে নেই লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ পিএ সাংমার পরিবারও। সবমিলিয়ে পারিবারিক উৎসবের চেহারা নিয়েছে মেঘালয়ের বিধানসভা ভোট।
[জাতীয়তাবাদ বিজেপির ভিত্তি, দলে গণতন্ত্র রয়েছে বললেন মোদি]
মেঘালয় বিধানসভায় আসন ৬০টি। সরকারের গড়ার জন্য ৩১ জন বিধায়ক প্রয়োজন। আগামী ২৭ ফ্রেরুয়ারি উত্তর-পূর্বে এই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেসশাসিত এই রাজ্যটিকে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া বিজেপি। গেরুয়া শিবিরকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে তৈরি শাসকদল কংগ্রেসও। মোদির কায়দাতেই এবারের বিধানসভা ভোটে দুটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। আরও তিনটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের লোকেরাই। মহেন্দ্রগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ফের ভোটে দাঁড়িয়েছেন মুকুল সাংমার স্ত্রী দিক্কাচি ডি শিরা। রাঙসাকোনা আসনে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ভাই জেনিথ সাংমাকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। এমনকী, ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন জেনিথের স্ত্রী। এবার প্রথম ভোটে লড়ছেন তিনি। গামবেকরি আসনে শাসকদলের প্রার্থীর মুকুল সাংমার ভাইয়ের স্ত্রী।
[পিএনবি কিছুই নয়, নোট বাতিল আরও বড় কেলেঙ্কারি! সরব মমতা]
সত্যি কথা বলতে, মেঘালয়ে বিধানসভা ভোটে এটাই দস্তুর। যখন যে দলই ক্ষমতায় থাকুক কেন, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের একাধিক সদস্য ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েন। কিন্তু, এই ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে একেবারেই ভাল ইঙ্গিত নয়, তা মানছেন সকলেই। মেঘালয়ে প্রথমসারির এক দৈনিকের সম্পাদক প্যাট্রিসিয়া মুখহিম বলেন, ‘একই পরিবার থেকে একাধিক সদস্য ভোটে টিকিট পেয়ে যাচ্ছে। এতেই স্পষ্ট, রাজনীতিবিদরা নিজেদের পরিবারের ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করতে চাইছেন। তাই মেঘালয়ে ভোট কার্যত পারিবারিক ক্ষমতা বৃদ্ধি ও রাজ্যশাসনের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্রের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
[রেস্তরাঁয় ঢুকে যুবককে বেধড়ক মারধর, অভিযোগে সাসপেন্ড কংগ্রেসের যুবনেতা]
এই মেঘালয় থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে উত্থান হয়েছিল পিএ সাংমার। পরবর্তীকালে লোকসভার স্পিকারও হয়েছিলেন তিনি। এবারের বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁর বড় ছেলে ও মেয়ে। একথা ঠিক, যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু, মে্ঘালয়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি পরিবার যেভাবে পুরো ব্যবস্থাটাকে গ্রাস করতে চাইছে, তা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।
[প্রেমিককে ভিডিও চ্যাটে রেখে হস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী এমবিএ ছাত্রী]