নন্দন দত্ত, সিউড়ি: তিন দফায় কমেছে ভোটের হার। শুধুমাত্র সাধারণ ভোটার নয়, ভোট দানে অনীহা ভোটকর্মীদেরও! বীরভূমে ১৩ মে ভোটগ্রহণ। ভোটকর্মীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের সুযোগ ছিল তার আগেই। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগালেন না অধিকাংশ কর্মীই। নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটকর্মীদের ভোটের হার বাড়াতে বাড়তি উদ্যোগ নেবে জেলা। ১০ মে থেকে পরপর তিনদিন ফের একইভাবে মুখবন্ধ ব্যালটের খামে ভোটের সুযোগ থাকছে।
বীরভূমের ৩০৭টি বুথে ৬ হাজার ৪৮৭ জন কর্মী ভোটের কাজে যাবেন। যেহেতু ভোটের কাজে তাঁদের অন্যত্র যেতে হয় তাই সরকারি কর্মীদের আগেই গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকে। অথচ গত দুদিনে প্রশিক্ষণ নিতে এসে মাত্র তিন হাজার মতো ভোটকর্মী ব্যালটে ভোট দিলেন। অর্ধেকের কম ভোটকর্মী ভোট দিয়েছেন। যারা নিজেরাই ভোট দিচ্ছেন না, তাঁরা কী করে ভোটারদের উৎসাহিত করবে, সে নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। তবে ভোটকর্মীদের কথায়, যেভাবে ভোট নেওয়া হচ্ছে, সই করে ব্যালট বাক্সে ফেলতে হচ্ছে তাতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা থাকবে না। সহজেই জানা যাবে কাকে ভোট দিলেন কর্মীরা। এই আশঙ্কা কাজ করেছে কর্মীদের মধ্যে। অনেকে গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে চাননি। কেউ কেউ অনীহা প্রকাশ করেছে।
[আরও পড়ুন: HS Result 2024: ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল, কীভাবে জানবেন? জেনে রাখুন খুঁটিনাটি]
১৩ মে চতুর্থ দফার ভোটদান নিশ্চিন্ত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক শশাঙ্ক শেঠ্ঠি জানান, বীরভূমে নিশ্চিন্তে ভোট প্রক্রিয়া করাতে ১৩১ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী জেলায় মোতায়েন করা হবে। ইতিমধ্যে জেলায় ২৪ কোম্পানি মোতায়েন করা আছে। জেলা নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ভোট পর্ব দেখে তাঁরা আরও সতর্ক।
বীরভূম কেন্দ্রে ৭টি বিধানসভা ও বোলপুর কেন্দ্রে ৪টি বিধানসভা বীরভূমের মধ্যে পরে। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ভোটের আগে গত ১৫ দিন ধরে বিশেষ অভিযান চালান হয়েছে। তাতে বে আইনি অস্ত্র, মাদক, নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০ লিটার বেআইনি মদ, ১৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭০০ নগদ টাকা, ৬৭টি লাইসেন্স বিহীন অস্ত্র, ১১৭টি কার্তুজ, ৬.৪ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক, ৭৫৮টি তাজা বোমা উদ্ধার করা গিয়েছে। জেলায় নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৯৯ টি ফ্লাইং স্কোয়াড, ৯৯ টি স্ট্যাটিক সার্ভেল্যান্স টিম দিনরাত কাজ করছে। নজর রাখা হয়েছে প্রার্থীদের খরচের বিষয়ে। নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে জেলার ৯৪টি এলাকায়। প্রতিটি স্কোয়াডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও জওয়ানরা থাকছে।থাকছে একজন ভিডিওগ্রাফার।