সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজনীতিতে আগমন ঘটতে চলেছে জাতীয় রাজনীতির সবচেয়ে চর্চিত এবং চমকপ্রদ মুখ প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor)। সম্প্রতি একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, চিরদিন তিনি মেঘনাদের মতো আড়াল থেকে লড়াই করতে চান না। ফের পা রাখতে চান সক্রিয় রাজনীতিতে। যার অর্থ, ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন এই কৌশলীকে শীঘ্রই হয়তো দেখা যাবে দেশের রাজনীতির কুশীলবদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকে (PK) জানিয়েছেন,”আমি এখন যেটা করছি সেটা সারাজীবন করতে চাই না। অবশ্যই সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাই।” সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চাইলে সেটা কবে? বা কোন দলের হয়ে? পিকে অবশ্য সেসব নিয়ে এখনই রা কাটছেন না। তাঁর একটাই উত্তর, ‘সে পরিকল্পনা এখনও করা হয়নি।’ তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা বলছেন,” এখনও জানি না আমি কবে বা কীভাবে রাজনীতিতে নামব, সেটা রাজ্যস্তরে নাকি জাতীয় স্তরে, সেটাও এখনও জানি না। তবে, এটা ঠিক যে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আজ নয় কাল আসব। একবার আমি ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু আবার চেষ্টা করতে চাই।” লাখ টাকার প্রশ্ন হল, পিকে কি বিজেপি বিরোধী কোনও দলেই যোগ দেবেন নাকি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর কোনও সম্ভাবনা আছে? সে প্রশ্নও এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। শুধু একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজনীতিতে তাঁর আগমন হচ্ছেই।
[আরও পড়ুন: ‘পকেটে ইস্তফাপত্র নিয়ে ঘুরছি’, ধূপগুড়ির সভা থেকে মমতাকে ফের পালটা চ্যালেঞ্জ শাহের]
একটা সময় সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন পিকে। সেভাবে জনসমক্ষে না দেখা গেলেও বিহারের বর্তমান শাসকদল জেডিইউয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। নীতীশের (Nitish Kumar) তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার তথা বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। কিন্তু, সদ্য শেষ হওয়া বিহার নির্বাচনের আগে জেডিইউয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেন তিনি। তারপর থেকে শুধু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরামর্শদাতা হিসেবেই কাজ করে চলেছেন তিনি। এই মুহূর্তে পিকে কাজ করছেন তৃণমূলের হয়। পাশাপাশি তামিলনাড়ুতে ডিএমকে (DMK) এবং পাঞ্জাবে কংগ্রেসের (Congress) হয়েও কাজ করছেন তিনি।