ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) আগে বঙ্গ রাজনীতির পরতে পরতে নয়া মোড়। তৃণমূল নেত্রীর নীরবতায় অভিমানী তাপস রায় (Tapas Roy) দলত্যাগ করেছেন সোমবার। দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে নিজের সমস্ত অভিমান, ক্ষোভের কথা উগরে দিয়েছেন তাপসবাবু। জোর জল্পনা যে তিনি বিজেপিতে যোগ উত্তর কলকাতায় গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হবেন। সূত্রের খবর, এর মাঝেই আচমকা তাঁকে ফোন করেন দুঁদে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। কী কথা হল দুজনের মধ্যে? তা নিয়েই এখন জোর গুঞ্জন।
সোমবার সকাল থেকেই দলের সতীর্থদের বাড়িতে যাতায়াত, সাংবাদিক বৈঠক, বিধানসভায় গিয়ে ইস্তফাপত্র (Resignation) পেশ – একাধিক কাজে দিনভর ব্যস্ত ছিলেন তাপস রায়। ইতিমধ্যে তাঁর কাছে প্রচুর ফোন এসেছে বলে খবর। তিনি ফোন ধরতে পারেননি। সেই তালিকায় ছিলেন প্রশান্ত কিশোরও। সেসময় ব্যস্ত থাকায় ফোন ধরতে পারেননি তিনি। সূত্রের খবর, পরে প্রশান্ত কিশোরকে তাপস রায় নিজে ফোন করেন। বেশ কিছুক্ষণ দুজনের মধ্যে কথা হয়। আপাতত তাপসবাবুকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পিকে। অর্থাৎ তৃণমূল ছাড়লেও এখনই তাড়াহুড়ো করে অন্য কোনও দলে যাওয়া ঠিক হবে না বলেই পিকের বার্তা, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের।
[আরও পড়ুন: ‘তমলুকে তো অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়’, প্রার্থীপদে ‘পরিবারতন্ত্র’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে বেফাঁস শিশির!]
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (WB Assembly Polls 2021) বাংলার জন্য কাজ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ঘনিষ্ঠ ও ভরসাযোগ্য নেতা প্রশান্ত কিশোর। নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে পিকে-র সাফল্যই এর অন্যতম কারিগর। একুশে তৃণমূলের স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ কিংবা ‘বাংলার গর্ব মমতা’ অথবা ‘দিদিকে বলো’র মতো যেসব প্রকল্পের বিপুল জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে ফের তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, তার নেপথ্য কারিগর এই প্রশান্ত কিশোরই। তৃণমূলের সঙ্গে পিকে-র সম্পর্ক বেশ ভালো। সেদিক থেকে তাপস রায়কে ফোন করে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।