সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইলেক্টোরাল বন্ড (Electoral Bond) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ব্যাঙ্কের নিয়ম। নয়া হাতিয়ার নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পালটা পদক্ষেপ করার পথে কেন্দ্র। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলছে, ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী গোপন কোনও তথ্য কোনওভাবেই প্রকাশ্যে আনা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের রায় মানতে গেলে সেই নিয়ম ভঙ্গ করতে হবে। যা আইনত সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চ ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, কোন রাজনৈতিক দল গত পাঁচ বছরে কোন শিল্প সংস্থার থেকে কত টাকা চাঁদা পেয়েছে, তা মার্চ মাসেই প্রকাশ্যে আনতে হবে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, কোন কোন সংস্থা ইলেক্টোরাল বন্ড কিনেছে, সেই তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন তা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের চাইতেও বেশি! লোকসভা ভোটে বাংলার জন্য কত বাহিনী চাইল কমিশন?]
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্র বলছে, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ মানতে গেলে একাধিক নিয়ম ভঙ্গ করতে হবে। বিশেষ করে ব্যাঙ্কের নিয়মে যে গোপনীয়তা নিশ্চিত করা হয়, সেটা ভঙ্গ করতে হবে। সেদিকটা আগে ভেবে দেখা দরকার। সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতের এই রায় মানতে গেলে, বহু আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে। এই মর্মে ফের আবেদন করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। যা লোকসভার আগে মোদি সরকারের মুখরক্ষার হাতিয়ার হতে পারে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় ফের মনোনয়ন জয়ার, বচ্চন দম্পতির মোট সম্পত্তির পরিমাণ তাক লাগায়]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ইলেক্টোরাল বন্ডকে এতদিন নির্বাচনী সংস্কারের ক্ষেত্রে মোদি (Narendra Modi) সরকারের মাস্টারস্ট্রোক হিসাবে দেখা হত। আর গত পাঁচ বছরে ইলেক্টোরাল বন্ডে বিরোধীদের থেকে কয়েক গুণ বেশি চাঁদাও পেয়েছে গেরুয়া শিবিরই। সূত্রের খবর, বিজেপির অন্দরে অনেক নেতাই চাইছেন সুপ্রিম রায়কে অকেজো করতে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করুক।