সম্যক খান, মেদিনীপুর: মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রামে (Jhargram) হাতির হানা মোটেও নতুন নয়। প্রায়ই মানুষের দুয়ারে হাজির হয় তারা। চাল-গম খেয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু হাতি যদি নগদ টাকা খেয়ে পালায়? এমনটাই ঘটেছে মেদিনীপুরের গুড়িপাড়ের শালিকা গ্রামে। এই অভিযোগ পেয়ে রীতিমতো বিড়ম্বনায় বন দপ্তরের কর্তারা।
হাতির (Elephant) আক্রমনে কোনও মানুষের মৃত্যু হলে, ঘর বা চাষের ক্ষয়ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু হাতি যদি নগদ টাকা খেয়ে ফেলে তাহলে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া কীভাবে সম্ভব? কীভাবে প্রমাণ করা হবে ক্ষতি? এই বিষয়টিকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গুড়গুড়িপাল থানা এলাকা জুড়ে। এদিকে অভিযোগে অনড় টাকার মালিক তথা দাবিদার আশালতা দলুই। তাঁর দাবি, মাতাল স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গমের বস্তার মধ্যে ১৩,৫০০ টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সেই টাকাই খেয়ে গিয়েছে হাতির পাল।
[আরও পড়ুন: কঙ্কালের স্তূপের উপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে সিংহ, ঠিক যেন ‘Lion King’, মুগ্ধ নেটিজেনরা]
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দলমা থেকে আসা হাতির একটি দল বর্তমানে গুড়গুড়িপাল থানা তথা চাঁদড়া রেঞ্জ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ছয়টি হাতির একটি দল গোপগড় বিটের পাঞ্জাশোল জঙ্গল ছেড়ে শালিকা গ্রামে প্রবেশ করে। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মধ্যেই বাদল দলুইয়ের বাড়ি। অভিযোগ উঠেছে, সেই বাড়িরই দেওয়াল ভেঙে মজুত করে রাখা রেশনের চাল ও গমের বস্তা শুঁড় দিয়ে বের করে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে খেয়ে সবকিছু সাবাড় করে দেয় হাতির দল। বনদপ্তরের কর্তারা খুঁজে পাচ্ছেন না এই সমস্যার সমাধান সূত্র।
এবিষযে এডিএফও বুদ্ধবেদ মণ্ডল বলেছেন, এধরনের কোনও অভিযোগ এখনও তাদের কাছে আসেনি। কে কি দাবি করেছেন জানি না। হাতির আক্রমনে প্রানহানি ঘটলে ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। বাড়িঘর ভাঙলে বা চাষ নষ্ট হলেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। কিন্তু হাতি যদি নগদ টাকা খেয়ে ফেলে তার প্রমান কীভাবে পাওয়া যাবে। আপাতত বনদপ্তর খবর পেয়ে হাতির দলকে শালিকার জঙ্গল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। অপরদিকে চাঁদড়ার শুকনাখালিতেও দশটি হাতির একটি দল তাণ্ডব চালায় ধানজমিতে। পরে অবশ্য হুলা পার্টির লোকজন হাতির দলটিকে কংসাবতী নদী পার করে মানিকপাড়ার দিকে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।