সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল লেজ: দেখতে ছোট্টখাটো হলে কী হবে, তেজ ষোলো আনা। তার চেয়েও বেশি জেদ। লেজ উঁচিয়ে হাসপাতালের সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়। মানুষ পছন্দ হলে মিষ্টি হেসে দিব্যি কোলে উঠে গিয়ে আদর খায়। আবার অনধিকার প্রবেশ দেখলেই তাড়িয়ে তবে ছাড়ে। এই জেদের বলে বলিয়ান হয়েই দিব্যি হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি জুটিয়ে নিয়েছে বিড়াল বাবাজি। যার গলায় ঘণ্টা বাঁধা নিয়ে সেই কবে থেকে তরজা অব্যাহত। সে এখন দিব্যি গলায় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে সদর্পে ঘুরে বেড়ায়।
[আরও পড়ুন:প্রতিবেশীর ঘর থেকে ভেসে আসছে একের পর এক গুলির শব্দ, দরজা ভেঙে ঢুকে তাজ্জব পুলিশ]
অস্ট্রেলিয়ার (Australia) এপওয়ার্থ হাসপাতালে (Epworth Hospital) গেলেই দেখা যাবে এলউডকে। ভালবেসে হাসপাতালের কর্মীরাই নামটি রেখেছে। একদিনের চেষ্টায় নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি পায়নি এলউড। এর জন্য তাঁকে টানা এক বছর ধরে হাসপাতালে ভিতরে-বাইরে চক্কর কাটতে হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা এক বছর নিয়ম করে হাসপাতালে আসত এলউড। হাসপাতালের সামনে ঘুরে বেড়াত। সুযোগ পেলে রিসেপশনে কিংবা ওয়েটিং রুমেও ঢুকে পড়ত। ধীরে ধীরে চিকিৎসক থেকে রোগী এবং রোগীর আত্মীর-পরিজনদের প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠে সে। প্রত্যেকেই এলউডের খেয়াল রাখতেন। হাসপাতালের গম্ভীর পরিবেশে সকলের মুখে হাসি ফোটানোর ক্ষমতা রাখে ছোট্ট এই প্রাণীটি। তাকে দেখতে পেলে অসুস্থ রোগীর মন ভাল হয়ে যায়। ওষুধের তিক্ততা এবং ইঞ্জেকশনের ব্যথা অনেকটাই ভুলে যাওয়া যান বেশিরভাগ রোগী।
এক বছর ধরে এভাবে চলার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আর তারপর? তারপর সর্বসম্মতিতে এলউডকে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরিতে বহাল করা হয়। জুন মাসেই চাকরি পেয়েছিল এলউড। তবে পরিচয়পত্রটি তৈরি করতে একটু সময় লেগে যায়। এখন তা পরেই সগর্বে হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় এলউড। পারিশ্রমিক যা পায় তাতেই সে সন্তুষ্ট। মাঝে মধ্যে একটু সুখনিদ্রা উপরি পাওনা।
[আরও পড়ুন: MRP’র বেশি দামে আইসক্রিম বিক্রি কেন? ২ লক্ষ টাকা জরিমানা হল এই রেস্তরাঁর]
The post গলায় ঝুলছে পরিচয়পত্র, হাসপাতালের রক্ষী হয়ে সদর্পে ঘুরে বেড়ায় এই বিড়াল! appeared first on Sangbad Pratidin.