সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মহেশতলায় বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। অচৈতন্য অবস্থায় মেস থেকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম অর্চিষ্মান সামন্ত (২৩)। আদতে বাঁকুড়ার বাসিন্দা ওই ছাত্র। বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। থাকতেন মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুরে প্রদীপকুমার কর্মকারের বাড়িতে। একসঙ্গে তিনজন থাকতেন অর্চিষ্মানরা। তাঁদের মধ্যে একজন কদিন আগে বাড়ি চলে যান। ছিলেন অর্চিষ্মান ও সুমিত ঘোষাল নামে একজন।
[আরও পড়ুন: বাজেটে কমল তফসিলি জাতি, উপজাতি সংখ্যালঘুদের বরাদ্দ, কাটছাঁট শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও]
এদিন সকালে সুমিত কাজে যাওয়ার সময় দেখেন অর্চিষ্মান ঘুমোচ্ছেন। রাতে ফিরে দেখেন ওই যুবক অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে। বহু ডাকাডাকির পরও সাড়া মেলেনি তাঁর। এর পরই খবর দেওয়া হয় বাড়িওয়ালাকে। তড়িঘড়ি যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানেই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের পরিবারের তরফে জানিয়েছে ওই যুবকের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। তবে কী কারণে মৃত্যু তা এখনও জানা যায়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।