সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েদিতে ভরে গিয়েছে দেশের সমস্ত জেল। তাই বিচারপতিদের নির্দেশ দেওয়া হল, রায়দান আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত। এমনকি দোষী প্রমাণিত হয়ে যাওয়ার পরেও সাজা ঘোষণা করা যাচ্ছে না। ফলে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে ধর্ষকদের মতো ঘৃণ্য অপরাধীরাও। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি ইংল্যান্ডে। শোনা গিয়েছে, জেলের বোঝা কমাতে বেশ কিছু অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিতে পারে প্রশাসন।
ইংল্যান্ড (England) ও ওয়েলসের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত জামিনে মুক্ত থাকা অপরাধীদের সাজা ঘোষণা করা যাবে না। তবে সূত্রের খবর, আপাতত সোমবার পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি করা হলেও তার পরে বেশ কিছুদিনের জন্য বলবৎ থাকবে এই নির্দেশ। কারণ, অত্যধিক বন্দিদের ভিড়ে ভরে উঠেছে ইংল্যান্ডের জেলগুলো। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকেই ইংল্যান্ডের প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন যে জেলে বন্দিদের সংখ্যা মাথায় রেখেই যেন অপরাধীদের সাজার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মন্তব্যের পরেও বেশ ভালোরকম বেড়েছে ইংল্যান্ডে জেলবন্দির সংখ্যা।
[আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা মামলা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রুল জারির নির্দেশ হাই কোর্টের]
তবে প্রধান বিচারপতির এই সিদ্ধান্তের পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিচারকমহলও। তাঁদের বক্তব্য, বেশ কয়েকটি ধর্ষণের মামলায় ইতিমধ্যেই দোষী প্রমাণিত হয়েছে অভিযুক্তরা। তার মধ্যে রয়েছে এমন এক অভিযুক্ত, যে ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী প্রমাণিত হয়েছে। যদি সাজা না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে নির্যাতিতার মনে কী প্রভাব পড়বে? বিচারব্যবস্থার প্রতি কি সে আস্থা রাখতে পারবে?
দীর্ঘদিন ধরেই দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ জেলের অভাব দেখা দিয়েছে ইংল্যান্ডে। ২০১৯ সালে নির্বাচনের সময়ে কনজারভেটিভ পার্টির ইস্তেহারেও বলা হয় কুড়ি হাজার জেল তৈরি করা হবে। তবে নানা কারণে এখনও থেমে রয়েছে জেল তৈরির প্রক্রিয়া। সেই কারণেই আপাতত সাজার হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছে দাগি আসামীরা।