সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়াই করে একসময় ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। সেই কারণে এবার সম্মানিত হলেন তিনি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাঁকে ক্রিস্টাল অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে। রবিবার দাভোসে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দীপিকার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের আওতাভুক্ত ওয়ার্ল্ড আর্ট ফোরামের চেয়ারপার্সন হিলডে স্কেওয়াব।
পুরস্কার পাওয়ার পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন দীপিকা। বলেন, এই পুরস্কার পেয়ে তিনি সম্মানিত। অবসাদ মারাত্মক ব্যধি। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন এই পৃথিবীর কোথাও আত্মহত্যা করে। ভয় বা অবসাদের জন্য বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় এক ট্রিলিয়ান ডলার ক্ষতি হয়। “আমার মনে আছে, ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আমি ঘুম থেকে উঠি তখন মনে হচ্ছিল আমার পেট যেন ফাঁপা। জীবনের কোনও লক্ষ্য ছিল না। প্রচণ্ড বিরক্ত হতাম। একাধিক কাজ করতে হলে বোঝা মনে হত। অকারণে খুব কাঁদতাম। প্রতিদিন সকালে ওঠা আমার কাছে তখন স্ট্রাগল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিষাদগ্রস্ত হয়ে যেতাম। হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতাম। মা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলেন। আমার যে কোনও প্রফেশনাল সাহায্যের দরকার তা ধরতে পেরেছিলেন তিনি।” বলেন অভিনেত্রী।
[ আরও পড়ুন: ফুটবল কোচের ভূমিকায় অমিতাভ, প্রকাশ্যে ‘ঝুন্ড’-এর প্রথম ঝলক ]
এরপর ভয় ও অবসাদের কথা বলেন দীপিকা। জানান, এই দু’টি জিনিসই আর পাঁচটা রোগের মতো। এগুলোরও চিকিৎসা হয়। তিনি যখন মেনে নেন যে তিনি এই দুই রোগে আক্রান্ত, সেটাই ছিল তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রথম পদক্ষেপ। দীপিকা এও বলেন, মানসিক সমস্যার সঙ্গে যুদ্ধ করা সহজ নয়। কিন্তু যদি মনে আশা থাকে, তবে সব যুদ্ধে জেতা যায়। মার্টিন লুথার কিংয়ের কথা উল্লেখ করে দীপিকা বলেন, তিনিও তো আশার উপরেই বিশ্বাস রেখেছিলেন। দীপিকার এই বক্তব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অফিশিয়াল টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে।
[ আরও পড়ুন: অসুস্থ কবি শঙ্খ ঘোষ, শ্বাসনালীতে সংক্রমণ নিয়ে ভরতি হাসপাতালে ]
The post অবসাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়লাভ, দাভোস সম্মেলনে সম্মানিত দীপিকা appeared first on Sangbad Pratidin.