স্টাফ রিপোর্টার: জীবদ্দশাতেই শিল্পীর নামে প্রেক্ষাগৃহ! হাওড়ার আমতায় ৮০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম তৈরি হচ্ছে গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর (Nachiketa Chakraborty) নামে। নাম ‘নচিকেতা মঞ্চ’। ভূপেন হাজারিকা ছাড়া আর কোনও শিল্পীর এমন সৌভাগ্য হয়নি। স্বভাবতই খুশি নচিকেতা। ‘জীবনমুখী’ গানের স্রষ্টা জানালেন, “লজ্জা লাগছে। তবে আনন্দও হচ্ছে। আমার অনুষ্ঠান দিয়ে প্রেক্ষাগৃহের যাত্রা শুরু হলে আরও ভাল লাগবে।”
‘জীবনমুখী’ গানের সূত্র ধরেই তুমুল জনপ্রিয়তা নচিকেতার। শিল্পীর ‘নীলাঞ্জনা’, ‘অনির্বাণ’, ‘ডাক্তার’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’-এর মতো গানগুলি এখনও সবার মুখে মুখে। দু’টি চায়ের স্টল রয়েছে শিল্পীর নামে। ‘চা ও নচিকেতা’ এখন পাটুলির অন্যতম ল্যান্ডমার্ক। নচিকেতার নামে ২০১৯ সালে সাতদিনব্যাপী মেলাও হয়েছে হাওড়ায়। এবার আস্ত একটি প্রেক্ষাগৃহ।
[আরও পড়ুন: ‘এতদিন সুরক্ষার কারণেই চুপ ছিলাম’, জন্মভূমি Afghanistan নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী Celina]
১৪ আগস্ট হাওড়ার আমতায় একটি বেসরকারি নার্সিং ও ফার্মাকোলজি কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নচিকেতা। সেখানেই কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, এই কলেজে নচিকেতার নামে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হবে। নচিকেতা ফ্রেন্ডস ক্লাব ‘আগুনপাখি’র তরফে অভিষেক দে জানিয়েছেন, “কোনও শিল্পীর নামে জীবদ্দশায় প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হওয়ার ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে সত্যিই বিরল। আমরা ‘অগ্রগতি’ সংস্থার কাছে কৃতজ্ঞ।” নচিকেতার ছবি ও বিভিন্ন গানের লাইনে সেজে উঠবে প্রেক্ষাগৃহের অন্দরমহল।
শুরু থেকেই স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে ভালবাসেন নচিকেতা। একুশ শতকে দাঁড়িয়েও স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না তিনি। ‘ক্যাবলা’ ফোনেই সারেন কথা বলা আর মেসেজিংয়ের কাজ। নিজের কোনও ই-মেল আইডিও নেই। সম্প্রতি আত্মজীবনী শুরু করেছেন গায়ক। নাম দিয়েছেন ‘বিপজ্জনক হারমোনিয়াম’। তিরিশ বছরের সংগীত জীবনে প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি স্টেজ শো। প্রকাশিত গানের সংখ্যা প্রায় আটশো। অগ্রগতি-র কর্ণধার তপন মণ্ডল জানিয়েছেন, “নচিকেতা তো শুধু সুরকার-গায়ক নন, দার্শনিকও। তাঁর গানবন্দি দর্শনের ম্যাজিকে বহু জীবনে পরিবর্তন এসেছে। বিপদগামী ছাত্রযুবর প্রেরণা হয়ে উঠেছেন নচিকেতা। এমন মানুষকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অডিটোরিয়াম বানানোই যায়।”