আকাশ মিশ্র: কোনও উপন্যাস থেকে ছবি বা সিরিজ বানানো বরাবরই খুব চ্যালেঞ্জিং। আর সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দও করেন পরিচালকরা। এই পছন্দের পিছনে মূলত দুটো কারণ থাকে। এক, আগে থেকেই চিত্রনাট্যের একটা কাঠামো পাওয়া যায়। দুই, উপন্যাসটির জনপ্রিয়তা সিরিজকে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করে। আমাজনে সদ্য মুক্তি পাওয়া সিরিজ ‘দ্য বেস্ট সেলার’-এর ক্ষেত্রে এই কারণ কাজ করতেই পারত। কিন্তু ভাল কাঠামো পেয়েও, দুর্বল চিত্রনাট্য ও পরিচালনার কারণে এই সিরিজ একেবারেই জমল না।
রবি সুব্রহ্মণ্যমের ‘দ্য বেস্ট সেলার শি রোট’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি এই সিরিজ। তবে পরিচালক মুকুল অভয়ংকর যদি গল্পটা কপি পেস্ট করতেন, তাহলে হয়তো সিরিজটা কিছুটা হলেও ইন্টারেস্টিং হত।
মিঠুন চক্রবর্তী, গওহর খান, অর্জন বাওয়েজা, শ্রুতি হাসান। অভিনয়ের দিক থেকে এই সিরিজে অধিক ‘সন্ন্যাসী’। কিন্তু ভাল ভাল অভিনেতাদের নিয়েও কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পরিচালক। উলটে প্রতিটা এপিসোডেই অভিনেতাদের অসহায়তা ফুটে উঠল।
[আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের ফেলে আসা সময়ের স্মৃতি কি ফেরাতে পারল ‘আবার বছর কুড়ি পরে’? ]
এই সিরিজের গল্প এক লেখককে নিয়ে। যিনি তাঁর এক ফ্যানের জীবনে ঘটে যাওয়া গল্প থেকেই আইডিয়া চুরি করে গল্প লিখতে শুরু করেন। এরকমই এক গল্পের মধ্যে পরিচালক নিয়ে আসেন এমন কিছু ঘটনা, যা রহস্য তৈরি করতে পারত! কিন্তু চিত্রনাট্যের দুর্বলতায় সেই সাসপেন্স আর থাকে না। এপিসোড যত এগোয়, আগ্রহ নষ্ট হতে শুরু করে।
অভিনয়ের দিক থেকে সবাই নিজের একশো শতাংশ দিয়েছেন। বহুদিন পর স্ক্রিনে মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখে ভালই লাগবে। এই সিরিজের বড় দুর্বলতা হল, এপিসোডগুলো খুবই শ্লথ গতিতে এগোয়। একটা থ্রিলারের পক্ষে যা একেবারেই অনুচিত। সিরিজের শেষ কয়েকটি এপিসোডের সম্পাদনায় আরেকটু মন দেওয়া উচিত ছিল। শেষমেশ বলা যায়, বেস্ট সেলার সিরিজ আশা জাগিয়েও শেষমেশ ব্যর্থ হয়। বেস্ট সেলার গল্পের বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও, বেস্ট সিরিজ হতে পারল না ‘দ্য বেস্ট সেলার’।